ডিফেন্স

এই সাতটি কারনেই ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান চীন, পাকিস্তানের ভয়ের কারন

নিউজ ডেস্কঃ প্রায় তিন দশক ধরে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক দের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হয়। হিন্দুস্থান এরোমেটিক লিমিটেড ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে দেশীয় বার্ড তেজাস যুদ্ধবিমান তুলে দেয়। দেশীয় প্রযুক্তি তে প্রস্তুত তেজাস দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার পুরানো মিগ-২১ গুলো কে এবার ধীরে ধীরে রিপ্লেস করা হবে। এরোমেটিক্যাল ডেভালমেন্ট এজেন্সি ও হ্যালের তেজাস যুদ্ধবিমানের প্রথম স্কোয়াড্রন এর নাম রাখা হয়েছে ফ্লাইং ড্যাগারস।
.
দেশীয় বার্ড তেজাস যুদ্ধবিমান সমন্ধে ৭টি উল্লেখযোগ্য তথ্য
.
১. তেজাস যুদ্ধবিমানে পাইলট দের সুবিধার জন্য কুয়াড্ররুপ্লেস ডিজিটাল ফাই বাই ওয়ার ফাইটিং কন্টোল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই যুদ্ধবিমান আয়তনে ছোট ও এর বডিতে কার্বন কম্পোজার ব্যবহারের ফলে একে শত্রুর রেডারে শনাক্তকরন করার সম্ভাবনা মিগ-২৯ বা এফ-১৬ থেকেও কম।
.
২. তেজাস যুদ্ধবিমানে ককপিট হিসাবে অত্যাধুনিক গ্লাস ককপিট ব্যবহার করা হয়েছে যা যুদ্ধক্ষেত্রে পাইলট কে বিশদে তথ্য সরবরাহ করতে পারদর্শী। এছাড়াও এর এভিওনিক হিসাবে ডিআরডিও বানানো উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে যা প্রযোজনে আপডেট করা যাবে এবং পাইলটের সুবিধার জন্য এতে হেলমেট মাউন্টেন ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যা ডগ ফাইটের সময় পাইলটদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।
.
৩. একসময়ের ভারতীয় বায়ুসেনার মেরুদণ্ড হিসাবে থাকা সোভিয়েত ইউনিয়নের বানানো বিশ্বখ্যাত মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের সাথে তেজাসের তুলনা করলে দেখা যায় তেজাস অত্যন্ত আধুনিক এক যুদ্ধবিমান। কারন মিগ-২১ এর থেকে এর অনেক উন্নত ককপিট ও আধুনিক এভিওনিক সিস্টেম। এছাড়াও মিগ-২১ বাইসনের থেকে এর হাল্কা ওজন ফলে ম্যানওভারিটি বেশী কিন্তু শক্তিশালী বডির জন্য এটি মিগের তুলনায় শতগুণ এগিয়ে থাকবে।
.
৪. বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনা নতুন যুদ্ধবিমানের সংকটে জর্জরিত কারন বায়ুসেনার গ্রহন করা বিভিন্ন প্রকল্প গুলি যেমন, সুখোই-হ্যাল এফজিএফএ, রাফেল ডিল, এমকা অথবা এমএমআরসিএ চুক্তি গুলো পরিপূর্ন হয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে দীর্ঘ সময় লাগবে তাই বর্তমানে তেজাস যুদ্ধবিমানের বায়ুসেনাতে অন্তর্ভুক্তি অক্সিজেনের কাজ করবে।
.
৫. তেজাস যুদ্ধবিমানের ৪০০কিমির মধ্যেই তার অপারেশন চালাতে দক্ষ ফলে এই যুদ্ধবিমান প্রধানত পয়েন্ট ডিফেন্স এয়ার স্ট্রাইক হিসাবেই ব্যবহার করা হবে। ডিপ স্ট্রাইক এয়ার টু গ্রাইন্ড এট্যাকের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনা সুখোই-৩০ এমকেআই অথবা রাফেল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করবে।
.
৬. ভারতের প্রাত্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রথম ভারতের লাইট কম্ব্যাট এয়ারক্রাফট এর তেজসের নামকরণ করেছিলেন।
.
৭. তেজসের আপগ্রেড ভার্সান ১এ তে অত্যাধুনিক এইএসএ রেডার, ইউনিফায়েড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেসার, মাঝ আকাশে রিফুয়েলিং, উন্নত বিভিআর ইত্যাদি অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত এই যুদ্ধবিমানের দাম ২৭৫কোটি টাকা থেকে ৩০০কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *