ডিফেন্স

ভবিষ্যতে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে টাটার মতো প্রাইভেট সেক্টরের অনস্বীকার্য ভূমিকা

রাজেশ রায়:— একটা সময় ছিল যখন যুদ্ধের হার জিত নির্ভর করত যুদ্ধ ক্ষেত্রে লড়াই করা সৈনিকদের ক্ষমতার উপর। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন যুদ্ধের নিয়ম ও অস্ত্রের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তরোয়াল, ঢাল ও তীর থেকে যুদ্ধে কামানের ব্যাবহার শুরু হয় তারপর আসে বন্দুক। এরপর আসে অধুনা অটোমেটিক রাইফেল, মিসাইল, পরমানু অস্ত্র, হাইড্রোজেন বোম্ব, যুদ্ধ বিমান ও যুদ্ধ জাহাজ। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধ যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স রাজত্ব করবে। সেখানে ড্রোন থেকে শুরু করে পাইলট ছাড়াই হাইপারসনিক যুদ্ধবিমান, সাইবার অ্যাটাক, ন্যানো টেকনোলজি, রোবোটিক্স টেকনোলজি সহ এমন অনেক টেকনোলজি আসবে যা হয়ত এখন ভাবাও সম্ভব নয়। ২০১৯ সাল থেকেই ডিআরডিও সহ একাধিক সংস্থা হাইপাটসনিক মিসাইল, এক্সোস্ক্যালিটন সুট সহ এমন অনেক টেকনোলজির উপর কাজ শুরু করেছে। তবে ভারতেরই অনেক মানুষ এই বিষয়ে প্রশ্ন করে যে ভারতের মত দেশে যেখানে দারিদ্র্যতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইলেকট্রিসিটির মতন অনেক সমস্যা রয়েছে সেখানে বছর বছর প্রতিরক্ষা খাতে এত ব্যায় করার কর দরকার! এত উত্তর খুবই সোজা, প্রত্যেক দেশেরই নিজের ভূভাগ ও জনগনকে রক্ষা করা প্রধান কর্তব্য যাতে দেশের বাইরে থাকা জঙ্গি বা শত্রু দেশ এবং দেশের ভিতর লুকিয়ে থাকা শত্রুদের কে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এর জন্যই আমাদের দরকার মজবুত প্রতিরক্ষা সিস্টেম যা আমাদের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখবে। তাই ভারত সরকার প্রতি বছর প্রতিরক্ষা খাতে আরও বেশী বিনিয়োগ করছে। 

২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত ৫.২৫ লাখ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষনা করেছে। কিন্তু ইনফ্রাস্ট্রাকচার, রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট এবং জটিল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত একটু পিছিয়ে আছে কারন সরকারী সংস্থার পক্ষে এগুলে করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকার মাহিন্দ্রা, টাটা, এল এন্ড টি এর মতন সংস্থা কে প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসতে বলেছে কারন এসব সংস্থার কাছে ফান্ডিং এবং দক্ষ জনবল রয়েছে। সংস্থা গুলির কাছে বিভিন্ন সেক্টরের জন্য বিশেষজ্ঞ রয়েছে। আজকে ভারতীশ প্রতিরক্ষা সেক্টরে তিনটি সবচেয়ে বড় প্রাইভেট সংস্থা মাহিন্দ্রা, টাটা ও এল এন্ড টির ব্যাপারে আলোচনা করা হবে, যারা ভবিষ্যতে দেশে ডিফেন্স ইকোসিস্টেম তৈরিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এদের মধ্যে কোন সংস্থাটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা খাতে শ্রেষ্ঠ ভূমিকা রাখবে! এদের মধ্যে কী কোন সংস্থা ভারতের লকহিড মার্টিন বা বোয়িং হয়ে উঠতে পারবে??

টাটা, এল এন্ড টি এবং মাহিন্দ্রার ব্যাপারে বলবার আগে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে একটু বলা যাক। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর্মড ফোর্স ভারতের। যার মধ্যে সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা, নৌসেনা, উপকূল রক্ষী বাহিনী, সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস, স্পেশাল ফোর্স ও আন্দামান নিকোবর কম্যান্ডের মত আরও সার্ভিস রয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী ভারতের মিলিটারি ফোর্স বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ডিফেন্স বাজেট ভারতের প্রায় ৭৬.৫ বিলিয়ন ডলার যা ২০১২ এর তুলনায় ৯.৮ শতাংশ বেশী। ভারতের প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির জন্য ভারতের ডিফেন্স হাব কে দুই ভাগে ভাগ করা যাক৷ একটি হচ্ছে পাবলিক সেক্টর যেখানে সরকারী সংস্থা গুলে রয়েছে এবং অন্যটি হচ্ছে প্রাইভেট সেক্টর। পাবলিক সেক্টরে রয়েছে ১৬ টি সরকারি সংস্থা যাদের মধ্যে হিন্দুস্তান এরোনটিকস লিমিটেড বা হ্যাল, ভারত ইলেকট্রনিকস ও ভারত ডায়নামিক্স উল্লেখযোগ্য। প্রাইভেট সেক্টরে বিভিন্ন কোম্পানি ভারতের জন্য নানান ডিফেন্স সামগ্রী তৈরি করে, এদের লাইসেন্স দেয় ভারত সরকার। প্রাইভেট সেক্টর সংস্থা গুলোর মধ্যে টাটা, রিলায়েন্স, মাহিন্দ্রা, এল এন্ড টি, কল্যানী গ্রুপ, ভারত ফর্জ উল্লেখযোগ্য। এবার ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরে টাটা, এল এন্ড টি এবং মাহিন্দ্রার ভূমিকা একে একে জানা যাক। 

প্রথমেই জামশেদজী টাটার তৈরি টাটা সংস্থা। ভারতে যত প্রাইভেট প্রতিরক্ষা সংস্থা আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো ও বড় সংস্থা টাটা। ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে টাটা ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরে ঢুকে যায়। কারন সেসময় ব্রিটেনের সেনার ব্যাপক পরিমানে বন্দুক ও অ্যামোর অভাব পড়ে, তখন টাটা তাদের সমস্ত স্টিল প্ল্যান্ট থেকে স্টিল পাঠায়। স্বাধীনতার পর ১৯৫৮ সাল থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য টাটা পরিবহনের দায়িত্ব পালন করছে। যেকোনও যুদ্ধের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে লজিস্টিক সাপ্লাই যেন সবসময় বজায় থাকে। ১৯৯৯ সালে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে কার্গিল যুদ্ধের সময় টাটা ভারতীয় সেনাবাহিনীর লজিস্টিক সাপ্লাইয়ের জন্য ট্রাক তৈরি করেছিল। তবে বর্তমানে শুধু পরিবহনই নয় ডিফেন্সের জন্য টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম লিমিটেড বা টিএএসএল নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছে টাটা যেখানে ভারতের এরোস্পেস, ডিফেন্স, মিলিটারি ইন্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির কাজ হয়। টিএসএল এর কাজ ২০০৮ সালে শুরু হয় যখন সংস্থাটি আমেরিকার বিখ্যাত সিকরোস্কি সাথে যৌথভাবে এস -৯২ হেলিকপ্টার নির্মান শুরু করে। ২০১০ সালে এর জন্য হায়দ্রাবাদে ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি কেন্দ্র তৈরি করা হয়। এস-৯২ আমেরিকার সুপার হক হেলিকপ্টারেরই একটি আপগ্রেডেড ভার্সন। ২০১২ সালে আমেরিকার সবচেয়ে বড় এরোস্পেস সংস্থা লকহিড মার্টিনের সাথেও একটি যৌথ প্রজেক্ট শুরু করে টাটা। যাতে ভারতেই সি-১৩০ হারকিউলিসের মত বড় সৈন্য ও লজিস্টিক পরিবহনকারী বিমান তৈরি শুরু করে। সম্প্রতি টিএসএল এবং ইউরোপের এয়ারবাসের মধ্যে একটি চুক্তি হয় যাতে টাটা ভারতে সি-২৯৫ এর মতন কার্গো বিমান ভারতে তৈরি করবে এবং এমন ৪০ টি বিমান ভারতীয় বায়ুসেনাকে দেওয়া হবে। টিএসএল ও ইসরায়েলি এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য সারভিলেন্স ড্রোন তৈরি করছে। তাছাড়া বিএসএফের জন্য বর্ডার সিকিউরিটি সিস্টেম ও ডিজিটাল সফটওয়্যার টিএসএল তৈরি করে। আমেরিকার আরও একটি বড় এরোস্পেস সংস্থা বোয়িং এর অ্যাটাক হেলিকপ্টার  অ্যাপাচি ও ট্রান্সপোর্ট হেলিকপ্টার চিনুক ভারতে টাটাই তৈরি করে। এছাড়া আমেরিকার এফ-১৮, এফ-১৫ এর অনেক অংশ টাটা তৈরি করে।

এবার জানা যাক আরও একটি বড় সংস্থা এল এন্ড টি সম্পর্কে। এল এন্ড টি বা যাকে লার্সেন এন্ড টিউব্রু ও বলা হয়, এর সূত্রপাত হয় ১৯৫০ এর দিকে যখন ডেনমার্ক থেকে ভারতে আসা দুই শরনার্থী হেনিং হোল্ক লার্সেন ও সোরেন ক্রিস্টান টিউব্রো এই কোম্পানিটি তৈরি করেন। মুম্বাই বেসড এই সংস্থাটির অধীনে ১১৮ টি সংস্থা রয়েছে। ইন্জিনিয়ারিং, নির্মান ও অর্থনীতির পাশাপাশি এই সংস্থাটি আজ প্রতিরক্ষা সেক্টরেও যুক্ত রয়েছে। বিগত ৩০ বছর ধরে সংস্থাটি ভারতের এরোস্পেস, ডিফেন্স ও নেভিতে যুক্ত রয়েছে। এল এন্ড টির এরোস্পেস ডিপার্টমেন্ট মিলিটারি সারভিলেন্স ও স্ট্রাইকের জিনিস তৈরি করে। এল এন্ড টি ইসরোর সাথে যৌথভাবে ভারতের মহাকাশ পোগ্রামেও কাজ করে। ২০১৩ সালে ভারতের মঙ্গলযান ও ২০১৯ সালে চন্দ্রয়ান-২ এও এল এন্ড টি যুক্ত ছিল। সংস্থাটির ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য কে-৯ বজ্র হাউৎজার তৈরি করেছে একটি দক্ষিন কোরিয়ান সংস্থার সাথে যৌভভাবে। 

২০২০ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে এল এন্ড টির একটি চুক্তি হয় যাতে এল এন্ড টি পিনাকা রকেট লঞ্চারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সরবরাহ করবে। পিনাকা একটি মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার যা ৪৪ সেকেন্ডে ১২ টি রকেট লঞ্চ করতে পারে। ডিআরডিও ও এল এন্ড টি যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে। এল এন্ড টির নেভাল ডিপার্টমেন্ট ভারতীয় নেভির প্রথম সারির যুদ্ধজাহাজ, মিসাইল লঞ্চার তৈরি করছে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও এল এন্ড টির মধ্যে ৮৮৭ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার জন্য দুটি বিশেষ সারভিলেন্স যুদ্ধ জাহাজ তৈরির জন্য। ভারতের প্রথম নিজস্ব পরমানু সাবমেরিন আইএনএস আরিহান্ট তৈরিতেও এল এন্ড টির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ভারতীয় নেভির পরবর্তী পি-৭৫ আই সাবমেরিন টেন্ডারে এল এন্ড টি সম্ভবত ছয়টি সাবমেরিন ভারতে তৈরি করবে। এবার আসা যাক মাহিন্দ্রার কথায়। মাহিন্দ্রা কোম্পানি তৈরি হয় ১৯৪৫ সালে। পাঞ্জাবের দুই ভাই জগদীশ চন্দ্র মাহিন্দ্রা এবং কৈলাস চন্দ্র মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা নামক এই কোম্পানি তৈরি করেছিল। মুম্বাই নির্ভর এই সংস্থাটি অটোমোবাইল, নির্মান ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির মাধ্যমে ১০০ টি দেশে ছড়িয়ে আছে। প্রতিরক্ষা সেক্টরের জন্য মাহিন্দ্রার একটি আলাদা কোম্পানি আছে যার নাম মাহিন্দ্রা ডিফেন্স সিস্টেম লিমিটেড। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি থেকে শুরু করে বায়ুসেনার রেডার এবং নেভির জন্য টর্পেডো ও সাবমেরিন সেক্টরেও মাহিন্দ্রা যুক্ত আছে। ২০১৮ সালে মাহিন্দ্রা এবং ইসরায়েলি এরোনটিক্স লিমিটেড যৌথ ভাবে অরবিটার ৪ নামক একটি ড্রোনের নেভাল ভার্সন তৈরি শুরু করে যা ভারতীয় নেভিতে ব্যবহৃত হবে। ২০১৮ সালে মাহিন্দ্রা ভারতীয় সেনা ও প্যারামিলিটারি ফোর্সের জন্য বিশেষ একটি সারভিলেন্স সিস্টেম তৈরি করে। ২০২১ সালে মাহিন্দ্রার সাথে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ১৩,৫০০ কোটি টাকার চুক্তিতে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ গুলির জন্য অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার সিস্টেম তৈরি করার কাজ শুরু করে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ গাড়ি তৈরির পুরো মার্কেট প্রায় মাহিন্দ্রার দখলে। ২০২১ সালেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ আর্মড ভ্যেইকল সরবরাহের জন্য ১০৫৬ কোটি টাকার একটি চুক্তি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাথে। 

মাহিন্দ্রা, টাটা, এল এন্ড টি সবাই কোনও না কোনও ভাবে ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরে যুক্ত আছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য ড্রোন, বিমান এসব ক্ষেত্রে টাটা অনেক এগিয়ে, আবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ গাড়ি, সারভিলেন্স সিস্টেম তৈরিতে মাহিন্দ্রা এগিয়ে, অন্যদিকে ভারতীয় নেভির সাবমেরিন সহ বিভিন্ন যুদ্ধ জাহজের ইকুইপমেন্ট তৈরিতে এবং মহাকাশ গবেষনা ক্ষেত্রে এল এন্ড টি সবার থেকে এগিয়ে। অর্থাৎ ভারতীয় প্রতিরক্ষা সেক্টরে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। ২০২৫ এর মধ্যে ভারত সরকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রির মাধ্যমে ২৫ বিলিয়ন ডলার লাভের লক্ষ্য রেখেছে কিন্তু সরকারি সংস্থা গুলোর কাছে জটিল টেকনোলজি তৈরির পর্যাপ্ত অর্থ নেই, এখানেই দরকার বেসরকারি সংস্থা গুলোর। আমেরিকা আজ বিশ্বের সুপার পাওয়ার কিন্তু আমেরিকার প্রতিরক্ষা সেক্টরে লকহিড মার্টিন, বোয়িং, নর্থ্রুপ গ্রুম্যানের, জেনারেল ইলেকট্রিকের মত বড় বড় কোম্পানি গুলো সব প্রাইভেট সংস্থাই। ভূ রাজনীতিতে সমীকরন সববসময়ই পরিবর্তন হয় যার জন্য বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ হিসাবে ভারতের উচিত অস্ত্র উৎপাদনে সাবলম্বী হওয়া। তবে আশার কথা এটাই যে ভারতের ডিফেন্স সেক্টরে প্রচুর প্রাইভেট বিনিয়োগ আসছে। টাটা, মাহিন্দ্রা, এল এন্ড টির মধ্যে কোন সংস্থা ভবিষ্যতে ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরে রাজত্ব করবে তা সময় বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *