ডিফেন্স

চীনের সাবমেরিন গুলির থেকে ১০ গুন বেশি গতিতে হামলা করতে প্রস্তুত ভারতের সাবমেরিন গুলি

নিউজ ডেস্কঃ  SMART বা Supersonic Missile Assisted Release of Torpedo হল বর্তমানে DRDO এর হাতে থাকা একটি বড় মাপের প্রজেক্ট। সুপার সনিক ব্রাহ্মস প্রজেক্ট এর পর এই Smart সিস্টেম ভারতের নৌসেনার জন্য একটি গেম চেনজার হতে চলেছে।

এই প্রোজেক্টের সম্পর্কে সেভাবে কিছু জানা যায়নি। কারন এটি একটি গোপন প্রজেক্ট। যে টুকু পাওয়া গেছে , তার মধ্যে থেকে বিশ্লেষণ করলে যা দাড়ায়, পৃথিবীতে যে কোন হেভি ওয়েট টরপেডোর রেঞ্জ কত হয় ৪৫কিমি ,৫০ কিমি? ধরেনিন ৬০ কিমি। এর রেঞ্জ কত জানেন? ৬৫০ কিমি!

সোজা কথায় ধরে নেওয়া যেতে পারে যে একটা সুপার সনিক মিসাইল এর সামনে টরপেডো ফিট করা হয়েছে। এটা তৈরি করাই হচ্ছে সাবমেরিন কে ধ্বংস করার জন্য। এবার অনেকেরই মনে প্রশ্ন হতে  পারে যে তাহলে শুধু সুপারসনিক মিসাইল ই যথেষ্ট ছিল,বেকার কেন খরচ করে এই ধরনের সিস্টেম তৈরি করার দরকার কি ছিল? এটার কাজের ধরনটাই একদম আলাদা।

সাবমেরিন এর খুব কাছে গিয়ে এর মিসাইল পার্ট টা টরপেডো রিলিজ করে দেয় ,তখন টরপেডো অটোমেটিক টার্গেটে আঘাত করে ঠিক পুরো একটা PSLV, GSLV রকেট সিস্টেম এর মতন। সাবমেরিন এর ক্ররা পুরো হতচকিত হয়ে পড়ে যে তাদের দিকে কি আসছে টরপেডো না মিসাইল??? তারা মিসাইল ভেবে ডিফেন্স করতে গেলে সাইলেন্ট ভাবে টরপেডো এসে সাবমেরিন ধ্বংস করে দেবে। বুঝতে পারছেন পুরোই হতভম্ব করার মতো ব্যপার। একে যেকোন যুদ্ধ জাহাজ এমনকি ট্রাক বেসড কোস্টাল ব্যটারি থেকেও লঞ্চ করা সম্ভব।

আমেরিকা, রাশিয়া, চীনের পর ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ যারা সিস্টেম তৈরি করছে। তবে একটা কথা ভারতের এই Smart চীনের তুলনায় অনেক অনেক অত্যাধুনিক। কারন চীনের তৈরি একই ধরনের মিসাইল YU-8 এর রেঞ্জ মাত্র ৪০ কিমি। চীন বর্তমানে এর অ্যডভান্সড ভার্সন এর উপর কাজ করছে কিন্তু এরও রেঞ্জ ৭০-৮০কিমি, যেখানে ভারতের রেঞ্জ ৬৫০ কিমি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *