রাতের বেলাতেই পাকিস্তানি সেনাদের ত্রাসের কারন হয়ে দাড়ায় বিধ্বংসী এই ভারতীয় যুদ্ধবিমান
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের কাছে এমন কিছু যুদ্ধবিমান ছিল যা শুধু পাকিস্তান বা চীনের বিরুদ্ধে নয় স্বাধীনতার পর ভারতের একাধিক রাজ্যকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে কাজে লেগেছিল। de Havilland Vampire।
ভারতের কাছে থাকা অন্যতম সেরা বিমান।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে যুদ্ধবিমানটির ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু হয়। অর্থাৎ ১৯৪১ সালের দিকে শুরু হয়। তবে ১৯৪৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবার আকাশে উড়তে দেখা যায়। ১৯৪৬ সালে সার্ভিসে আসে যুদ্ধবিমানটি।
ইংল্যান্ডের তৈরি এটি একটি ফাইটার বম্বার। রয়্যাল এয়ারফোর্স এবং রয়্যাল নেভিতে দেখা গিয়েছিল যুদ্ধবিমানটিকে। বিশেষ রাত এবং দিনে সমানভাবে আক্রমন করতে পারত যুদ্ধবিমানটি।
১৯৪৯ সালে জানুয়ারি মাসে ভারতের কাছ আসে দুটি স্কোয়াড্রন ১৭ এবং ৩৭ নম্বর। এরপর ৫৪ নম্বর স্কোয়াড্রনটি আসার পর রাতের বেলাতেও আক্রমণ করতে পারত যুদ্ধবিমানটি।
১৯৬১ সালে পর্তুগিসদের থেকে গোয়াকে মুক্ত করতে এক বিরাট ভূমিকা পালন করে যুদ্ধবিমানটি। রাতের দিকে যুদ্ধবিমানটিকে দেখাযেত অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ফায়ারিং এর জন্য।
১৯৬৫ সালে এর ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রনটি ইন্দো-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাউন্টার আট্যাকের ভুমিকা গ্রহন করেছিল। ১২ টি এই বিমান সেইসময় পাকিস্তানকে রীতিমত শঙ্কায় ফেলে। শুধু তাই নয় আমেরিকার থেকে ক্রয় করা সেইসময়কার আধুনিক যুদ্ধবিমানকে আকাশ থেকে আকাশ পথে হামলা চালিয়ে ২ টি এফ ৮৬ যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে।
১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ভারতীয় বিমানবাহিনীতে মোট ২৮৬ টি যুদ্ধবিমান ছিল। ভারতীয় সেনাকে ২০ বছর সার্ভিস দিয়ে এসেছে ইংল্যান্ডের এই যুদ্ধবিমানটি। ১৯৭৯ সালে শেষবার আকাশে উড়তে দেখাযায় যুদ্ধবিমানটিকে। আফ্রিকার রোডেশিয়ান এয়ারফোর্স শেষবার দেখা যায় এটিকে। ভারত ছাড়াও কানাডা, ইংল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডের মতো প্রায় ৪০ টি দেশের কাছে ছিল যুদ্ধবিমানটি।
১ জন পাইলটকে নিয়ে প্রায় ২০০০ কেজির বোম্ব বহন করতে পারত। ৮৮২ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে প্রায় ২০০০ কিমি পর্যন্ত উড্ডয়ন করতে পারত যুদ্ধবিমানটি। প্রায় ৪৩০০০ ফুট থেকে আক্রমণ চালাতে সক্ষম ছিল যুদ্ধবিমানটি।
৪ টি গান, ৮ টি রকেট এবং ২ টি বম্বিং পয়েন্ট ছিল যুদ্ধবিমানটির।