ডিফেন্স

আমেরিকার হাতেই পৃথিবীর সবথেকে বিধ্বংসী মিসাইল। তবে সেনাবাহিনীর হাতে থাকা বিধ্বংসী মিসাইল ও কম যায়না

নিউজ ডেস্কঃ মিসাইল। পৃথিবীর প্রায় প্রচুর দেশ ই এই মিসাইল তৈরি করার জন্য বিরাট অর্থ বিনিয়োগ করছে। বিশেষ করে এগিয়ে থাকা দেশ গুলি নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডারে এই মিসাইল রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। আর সেই কারনে এয়ার লঞ্চড সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল রয়েছে প্রচুর দেশের হাতে। তবে পৃথিবীর সেরা ক্রুজ মিসাইল কোন গুলি?

AGM-158 Jassm:–

আমেরিকার লকহিড মার্টিন এর তৈরি। প্রায় ১২.৬ লক্ষ মিলিয়ন ডলারের এটির ইউনিট কষ্ট। ১৯৮৮ সাল থেকে তৈরি করছে আমেরিকার লকহিড মার্টিন। তবে উন্নততর মিসাইল 15b jssm তৈরি হচ্ছে ২০০৬ সাল থেকে। ওজন ৯৭৫ কেজি। আমেরিকার বম্বার বি ১ ল্যান্সারের লাগানো থাকে। এই মিসাইলটির রেঞ্জ ৯২৫+ কিমি। আমেরিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যন্ড, পোল্যান্ড এটি ব্যবহার করে।

স্ট্রোমশ্যডো (স্ক্যল্প):–

MBDA এর তৈরি এই মিসাইলটি। ফ্রান্স, ইটালি, ইংল্যান্ডে একসাথে কাজ করে এই  কোম্পানির মাধ্যমে।এই মিসাইলের ইউনিট কষ্ট ৮.৫ লক্ষ মিলিয়ন ডলার।ওয়ারহেড ৪৫০ কেজি।  রেঞ্জ ৫৬০ কিমি। ১৩০ ফুট উচ্চতা থেকে চালাতে সক্ষম। সর্বচ্চ গতি ১০০০কিমি/ঘণ্টা। ভারতের রাফালেতে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতের কাছে কত পরিমাণে আছে সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ভারত, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ইটালি, গ্রীস, কাতার, সৌদিআরব এটি ব্যবহার করে।

KEPD-350 :–

জার্মানি ও সুইডেনের যৌথভাবে তৈরি এই মিসাইলটির রেঞ্জ ৪৫০ কিমি। জার্মানি, স্পেন ও দক্ষিণ কোরিয়া এটি ব্যবহার করে। এর ওয়ারহেড ৪৮১ কেজি। এর গতি ১২০০কিমি/ঘণ্টা। এর ইউনিট কষ্ট ৯.৫ লক্ষ ইউরো।

Raduga Kh-101 :–

রাশিয়ার তৈরি এই kh-101 সবচেয়ে ঘাতক সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল। ১৯৮৩ সালে সার্ভিসে আসে। রাশিয়া, চীন এবং ইরান এবং ইউক্রেনের কাছে রয়েছে। এটি সিরিয়ান সিভিল ওয়ার বা ঘরোয়া যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে।  এর রেঞ্জ ২৫০০-২৮০০ কিমি তবে অজানা সুত্র মারফত, এখনও প্রমান হয়নি। এর রেঞ্জ ৪৫০০ কিমি। এটি ৪০০ কেজি কনভেনশনাল ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। রাশিয়ার দুটি বম্বার বিমান এবং সু ৩৪ থেকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

SOM:–

তুরস্কের রকেটসান এর তৈরি এই নেক্সট জেনারেশন বা পরবর্তী প্রজন্মের মিসাইলটির অনেকগুলি ভার্সন আছে। SOM-A, SOM-B1, SOM-B2, SOM-J, SOM-C1,C2.

এগুলোর রেঞ্জ মোটামুটি ২৫০ কিমির মধ্যে। এদের মধ্যে SOM-A বেসিক এয়ারফোর্স ভার্সন, SOM-B1 অ্যডভান্সড ভার্সন, SOM-B2 স্পেশালি ডিজাইনড ভার্সন যা শত্রুর স্ট্রাটেজিক অ্যসেট ধ্বংস করতে ব্যবহার হয়। SOM-J তুরস্ক স্পেশালি তৈরি করেছিল F-35 এর ইন্টারন্যল ওয়েপনস বে এর জন্য কিন্তু তুরস এখন F-35 পাচ্ছে না। SOM-C1,C2 আন্ডার ডেভলপমেন্ট এগুলো মূলত অ্যন্টিশিপ ভার্সন। ২০১৭ সালে এটি সার্ভিসে আসে। সর্বচ্চ গতি ১০০০ কিমি/ঘণ্টা। আমেরিকার এফ ১৬ ফাইটিং ফ্যাল্কন এবং এফ ৪ ফ্যান্টম ২ থেকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তুরস্ক ছাড়াও আজারবাইজান ব্যবহার করে থাকে এই মিসাইলটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *