ডিফেন্স

দাউদ- কে মারতে ৮ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়েছিল এই মানুষটি

নিউজ ডেস্কঃ দাউদ। ভারতবর্ষের ক্ষতি করা সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় থাকা প্রথম নাম। একাধিক সময় তাকে মারতে সব ঠিকঠাক থাকলেও দেশের রাজনৈতিক নেতাদের চাপে তা বানচাল হয়েছে। বিরাট টাকার বিনিময়ে এই নেতারা যে দেশকে বেঁচে দিয়েছেন তার ভুরিভুরি প্রমান রয়েছে।

মিশন- দাউদ (২০০৫-২০১৩)

১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের পর ডি-কোম্পানি ছেড়ে দিয়েছিল ছোটা রাজন। চলে গিয়েছিল থাইল্যান্ডে। ব্যাঙ্ককে ২০০০ সালে ছোটা রাজনের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল ডি-কোম্পানি। বদলা নিতে ছোটা রাজন দাউদ ইব্রাহিমকে মারার জন্য নিয়োগ করেছিল তার দুই বিশ্বস্ত হিটম্যান ভিকি মালহোত্রা ও ফরিদ তানাশাকে। দুবাইয়ে ২০০৫ সালে দাউদ কন্যা মাহরুখের বিয়ে হয়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের পুত্র জুনেইদের সঙ্গে। ২৩ জুলাই দুবাইয়ের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে ছিল রিসেপশন। ছোটা রাজনের গ্যাং সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেই পার্টিতেই হত্যা করা হবে দাউদকে।

ভিকি মালহোত্রা ও ফরিদ তানাশা।

সেই মতো ২০০৫ সালে রাজনের দুই হিটম্যান ভিকি মালহোত্রা আর ফরিদ তানাশা চলে এসেছিল ভারতে। দিল্লি থেকে দুবাই উড়ে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। খবরটা চলে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশের কানে। মুম্বাই পুলিশের কিছু অংশ দাউদের সঙ্গে ছিল এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে মুম্বাই পুলিশ দিল্লি এসে গ্রেফতার করেছিল ছোটা রাজনের হিটম্যানদের। ভেস্তে গিয়েছিল দাউদ হত্যার প্ল্যান। বেঁচে গিয়েছিল দাউদ ইব্রাহিম। উইকিলিকস সংস্থা ২০০৫ সালের ৮ আগস্ট জানিয়েছিল, দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই সময়ের ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর চিফ অজিত ডোভাল। যদিও ডোভাল ও সরকারের পক্ষ থেকে উইকিলিকসের দাবি অস্বীকার করা  হয়েছিল। উইকিলিকসের কেবল এর একটি অংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *