ডিফেন্স

২৪ ঘণ্টা নজর রাখবে ভারতীয় উপমহাদেশে। আসছে অত্যাধুনিক ভারতীয় স্যাটেলাইট

নিউজ ডেস্কঃ আকাশ গবেষণায় ভারতবর্ষ যে এশিয়ার বাকি দেশ গুলির থেকে যথেষ্ট এগিয়ে তা ইতিমধ্যে প্রমান হয়েছে। এবং ভবিষ্যতে আরও অত্যাধুনিক টেকনোলোজি আনতে চলেছে তা ইতিমধ্যে জানিয়েছে ইসরো।

ভারতের ২০১৯-২০তে মোট ১২টি স্যাটেলাইট স্যংশান হয় উৎক্ষেপনের জন্য। যার ৮টি ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৪টি স্যাটেলাইট নির্মানের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।

নবম স্যাটেলাইট GISAT-1 যা একটি আর্থইমেজিং স্যাটেলাইট তা লঞ্চ করার কথা ছিল এই বছর মার্চের ৫ তারিখে। লঞ্চ হওয়ার কথা থাকলেও লঞ্চের আগের মুহূর্তে টেকনিকাল কারনে লঞ্চ স্থগিত করা হয়। তারপর অজানা কারনে লঞ্চ ভেলিকেলও জিএসএলভি মার্ক-২ ডিস্যম্বেল করা হয়। করোনার কারনে সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে সব কাজ সম্পন্ন। লঞ্চ হবে চলতি বছরে। এটি ২২৬৮ কেজি ওজনের স্যটেলাইট যা জিওস্টেশনারি অর্বিটে ভূপৃষ্ট থেকে ইকুয়েটর বরার ৩৬০০০ কিমি উপরে থাকবে। স্যাটেলাইটি ভারতীয় উপমহাদেশের ওপরই স্থির থাকবে আর পৃথিবীর আহ্নিক গতী বরাবর ঘূর্ণন করবে। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের বিস্তর অঞ্চলে 24×7 নজর রাখতে পারবে। মিশন লাইফ ৭বছর।

অপর তিনটি স্যাটেলাইট যা তৈরি হয়েছে সেগুলির মধ্যে দ্বিতীয়টি হল মাইক্রোস্যাট-২এ যেটা আর্থ ইমেজিং বা স্পাই স্যটেলাইট। পৃথিবী থেকে ৩৫০কিমি উচ্চতায় মোতায়েন করা হবে। এই একই ধরনের স্যাটেলাইট গত বছর ভারত এ্যন্টি স্যটেলাইট মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করে। এটির মিশন লাইফ ১০মাস।

তৃতীয় টি GISAT-12R কমিউনিকেশান স্যাটেলাইট। ইনস্যট-৩বিকে রিপ্লেস করবে। এটি ১২টি এক্সটেন্ডেড সি ব্যন্ড ট্র্যন্সপন্ডার বহন করে। জিওস্টেশেনারি অর্বিটে থাকবে। অর্থাৎ ৩৬০০০কিমি উচ্চতায়। মিশন লাইফ ৭বছর।

চতূর্থটি RISAT-2BR2 রেডার ইমেজিং স্পাইট স্যটেলাইট। মিলিটারি মিশনে খুব গুরূত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট। কারন এটি সিন্থেটিক এ্যপের্চার রেডার ইমেজ তৈরি করে। যেকোনো আবহাওয়াতে এটি খুব হাইরেজলিউশান ছবি তৈরি করে। এটি ৫৫৫কিমি উপরে থাকবে আর এক্স-ব্যন্ড রেডার বহন করবে। রকেট হবে পিএসএলভি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *