ডিফেন্স

দেশীয় রেডার এবং যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে যেভাবে আপগ্রেড করা হতে চলেছে নৌবাহিনীর মিগ-২৯কে/কুব

নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যরিয়ার গুলির জন্য যে মিগ-২৯কে/কুব রুশ থেকে কেনা হয়েছিল সেই ক্যরিয়ারবোর্ন ফাইটার গুলিকে এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে নেক্সট লেভেলের আপগ্রেড সংযোজন করা হবে। এই আপগ্রেডের ফলে নৌবাহিনীর এই ফাইটার গুলি সম্পূর্ণ ৪.৫ ম প্রজন্মের ফাইটারে পরিনত হবে। 

♦ উত্তম এসা রেডারঃ নৌবাহিনীর মিগ গুলির বর্তমান পেসা রেডার Zhuk ME কে উত্তম এসা রেডার দিয়ে আপগ্রেড করা হবে। এই উত্তম রেডার গুলি বলতে গেলে Zhuk ME এর তুলনায় দ্বিগুন শক্তিশালী ও জ্যম রেসিস্টেন্সের ক্ষমতার অধিকারী। ৭৩৬-৭৮০ টিআর মডিউল যা গেলিয়াম আর্সেনাইড দিয়ে তৈরি, শক্তিশালী এই রেডার এক্স ব্যন্ড ফ্রিকুয়েন্সি তৈরি করে। যা ১.৫বর্গ মিটার টার্গেটকে ১৫০কিমি দুরে ট্র্যক করতে পারে। 

♦ অস্ত্র মার্ক-১ বিভিআরঃ ডিআরডিও এর তৈরি এই বিভিআর মিসাইল এয়ার টু এয়ার কম্ব্যটের জন্য যা আমেরিকার আমরাম-১২০সি৫ বিভিআর এর চেয়ে উন্নত। এতে অত্যাধুনিক ইলেকট্পনিক কাউন্টার কাউন্টার মেজর এবং স্মোক লেস ফুয়েল ব্যবহার করা হয়। হেড অন এনগেজমেন্টে এর রেঞ্জ ১১০কিলোমিটার যেখানে আমরাম-১২০সি৫ বিভিআর এর রেঞ্জ ১০৫কিমি যা পাকিস্তান ব্যবহার করে। এটি সিঙ্গিল স্টেজ সলিড রকেট মটর ব্যবহার করে যা এর গতীকে শব্দের গতীর ৪.৫ গুন প্রর্যন্ত নিয়ে যায়। 

♦ অস্ত্র মার্ক ২ঃ এটি আগের মার্ক-১ এর আপগ্রেডেড ভার্সান। যাতে উন্নত এ্যরোডায়নামিক ডিজাইনের সাথে ডুয়েল পালস রকেট মটর ব্যবহার করা হয়েছে। যা একে ১৬০কিমি দুরে টার্গেটকে আরও বেশি এনার্জির সাথে হিট করার সক্ষমতা প্রদান করে। অস্ত্র মার্ক-২ অবশ্যই আমরাম-১২০ডি ভ্যরিয়েন্টকে টক্কর দেবে। এতে এসা রেডার সিকারও ইনস্টল করা হতে পারে টার্মিনাল স্টেজে টার্গেটকে ট্র্যক করার জন্য। 

♦ ডিআরডিও স্মার্ট এ্যন্টি এয়ার ফিল্ড ওয়েপেনঃ ডিআরডিও এর তৈরি এই স্মার্ট মিউনিশান ইলেকট্রো অপ্টিক্যল সিকার ব্যবহার করে। এই মিউনিশান গুলির ওজন ১২৫কেজি। ৮০কেজির বিষ্ফরক বহন করে। এই মিউনিশান গুলি ১০০কিমি দুরে টার্গেট হিট করতে পারে। ভারতের একটি সুখোই ৩২টি এই মিউনিশান বা বোম্ব নিয়ে উড়তে সক্ষম। এই মিউনিশান মিগ-২৯কে ভ্যরিয়েন্টে যুক্ত হলে করাচীর মত এলাকা দুর থেকে টার্গেট করা যাবে। 

♦ গৌরব পিজিএমঃ ডিআরডিও এর তৈরি এই প্রেসিশিয়ান গাইডেড মিউনিশান প্রকৃতপক্ষে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বোম যা খুব নিঁখুত ভাবে টার্গেট হিট করতে পারে। এই বোম্ব ১০০০কেজি ওজনের আর এগুলোর রেঞ্জ ৮০কিমি। বিভিন্ন ইনস্টলেশান যেমন শিপয়ার্ড, ফুয়েল স্টোরেজ, বিষ্ফরক স্টোরেজ টার্গেট করার জন্য মিগ-২৯কে এগুলো ব্যবহার করবে। 

♦ এছাড়া এতে দেশীয় মিশন কম্পিউটার, দিন রাতে যুদ্ধের সক্ষমতা ও লেজার ডেজিগশেনাশ পড সংযোজন করা হবে।

বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে ৪১টি মিগ-২৯কে আছে। আর ভারতের একটি অপরেশান ক্যরিয়ার আছে বিক্রমাদিত্য। আর একটি ভারতের নিজের তৈরি বিক্রান্ত রয়েছে সিট্রায়ালেয় যা আগামী বছর কমিশন হবে। তখন এই দুটি ক্যরিয়ারের জন্য মোট ৫০টি ফাইটার থাকতে হবে রেডি টু ফাইট মুডে। তাই ভারত ৩৬টি নতুন ক্যরিয়ার বোর্ন ফাইটারের টেন্ডার ডেকেছে। যাতে অংশ নিয়ে ফ্রান্সের রাফাল-এম, রাশিয়ান মিগ-২৯কে আর আমেরিকার সুপার হর্নেট ব্লক-৩! যদিও শেষ খবর অনুযায়ী আমেরিকার সুপার হর্নেট ব্লক-৩ অনেকটাই এগিয়ে আছে এই প্রতিযোগিতায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *