ডিফেন্স

স্টেটাস-৬। ভয়ানক শক্তিশালী যুদ্ধযানকে ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার জন্য ‘ডুমস-ডে ওয়েপন’ বা ধ্বংসের অস্ত্রের ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা:সেই সত্তরের দশক থেকেই রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে চলছে এক রাজনৈতিক চাপা উত্রান। ফলত, রাশিয়ার প্রত্যেকটি পদক্ষেপের ওপরেই  থাকে আমেরিকার তীক্ষ্ণ নজর। সম্প্রতি পেন্টাগনের পেশ করা একটি রিপোর্ট চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকার। জানা যাচ্ছে সকলের নজর এড়িয়ে সমুদ্রের গভীরে একটি ডুবন্ত নিউক্লিয়ার টর্পেডো তৈরি করছে রাশিয়া। এই খবর ফাঁস হতেই রীতিমত আলোড়ন পরে গেছে সমগ্র বিশ্বে।

আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের নতুন সামরিক অস্ত্র ভান্ডার সংক্রান্ত এক রিপোর্ট পেশ করেছিল। আর সেই রিপোর্ট থেকেই জানা গেছে  রাশিয়ার তৈরি এই নতুন পরমাণু চলিত, পরমাণু অস্ত্রবাহী,ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ডুবন্ত ও স্বয়ংক্রিয় টর্পেডোর কথা। স্টেটাস-৬ নামে পরিচিত ভয়ানক শক্তিশালী এই যুদ্ধযানকে তার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার জন্য সামরিক বিশেষজ্ঞরা ‘ডুমস-ডে ওয়েপন’ বা ধ্বংসের অস্ত্র বলে ডাকতে আরম্ভ করেছে।

মার্কিন আধিকারিকদের মতে,ডুমস-ডে ওয়েপন এর সাথে সাথে রাশিয়া আরেকটি ড্রোনের মত ডিভাইস তৈরি করছে, যা জলের তলাতেও কাজ করতে সক্ষম। সূত্র অনুযায়ী এই ডিভাইস এতটাই শক্তিশালী যে সমুদ্রের তলায় হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে সোজা আমেরিকা এসে হানা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এটি। ফলত, ভবিষ্যতে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রাশিয়া যে আমেরিকার মিলিটারি বেসগুলিকে টার্গেট করবে না, এমনটা এখনই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। রাশিয়া সত্যিই যদি কখনো এই ডিভাইসকে অ্যাকটিভ করে, তবে নেমে আসবে এক বড়সড় বিপর্যয়।

পেন্টাগনের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার যে এই মুহূর্তে শর্ট রেঞ্জের ব্যালিস্টিক মিসাইল, গ্র্যাভিটি বম্ব প্রভৃতি সহ প্রায় ২০০০ নন-স্ট্র্যাটেজিক পরমাণু অস্ত্র রয়েছে রাশিয়ার হাতে। যে কোনো বম্বার এয়ারক্রাফটের মাধ্যমেই এই বোমাগুলো ব্যবহার করা সম্ভব। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমেরিকার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর জন্য এই মুহূর্তে আমেরিকার সামনে খোলা রয়েছে একটি মাত্রই উপায়। রাশিয়ার মোকাবিলার জন্য আমেরিকাকে একদিকে যেমন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে ঠিক তেমনই যত দ্রুত সম্ভব পরমাণু অস্ত্র প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখ্য, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও পূর্বে প্রতিরক্ষা বিভাগের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন। একেই এক ধাক্কায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ক্রমশ বেড়ে চলেছে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা। এই অবস্থায় আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট অন্যান্য দেশ গুলিকে চাপে রেখে ঠিক কিভাবে এগোয় সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *