“আমি সাইকোলজির স্টুডেন্ট তাই সহজেই বুঝতে পারি যে কখন আমি উদ্বিগ্ন বা হতাশ হয়ে পরছি”- ফ্যাশান ডিসাইনার রোজা পারমিতা
সুমিতঃ অতিমারি বা মহামারীতে প্রান কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের। সারা পৃথিবী জুড়ে আজও মানুষ লড়ে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ওষুধ আসলেও তা এখন সহজলভ্য নয়, আসলে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে মানুষের সবথেকে বড় ওষুধ হল মানুষের শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ভাল খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা এবং মন ভাল রাখা। তবে মন ভাল রাখলে একটা আলাদা শক্তি পাওয়া যায়। সাধারন মানুষের মন ভাল রাখতে সিনেমা, সিরিয়াল দেখা থেকে শুরু করে নতুন কেনাকাটা করে থাকেন। তবে কখনও ভেবে দেখেছেন যারা আমাদের বিনোদন দিয়ে মন ভাল রাখেন, তারা কিভাবে মন ভাল করে রাখেন? অর্থাৎ শহর কলকাতার তারকারা কিভাবে মন ভাল রেখেছেন?
মডেল তথা ফ্যাশান ডিসাইনার রোজা পারমিতা। তিনি এই লকডাউন কিভাবে কাটাচ্ছেন? বা কিভাবে তিনি মন ভাল রেখেছেন এই পুরো লকডাউনে?
আংশিক লকডাউন চলছে, কমবেশি সকলেরই মন খারাপ। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের উচিৎ মন ভালো রাখা, কারন মন ভালো থাকলেই একটা পসিটিভ এনার্জি পাওয়া যায়। তুমি মন ভালো রাখতে কি কি করছো?
লকডাউনে নিজেকে ডিসিপ্লিন করার চেষ্টা করেছি। নিয়মিত শরীরচর্চা করা থেকে শুরু করে ঘর গোছান, রান্নাবাড়া করা যতটা সম্ভব পসিটিভ অ্যাক্তিভিটি নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেছি।
বাড়িতে বসে কাজ করলে বিরাট একটা সময় থেকে যায় যখন বসে থেকে কাটাতে হয়। তখন বেশিরভাগ মানুষ সিনেমা দেখার কথা ভাবে বা ওয়েব সিরিজ।তুমি কি কি ছবি দেখলে বা ওয়েব সিরিজ?
বেশ কিছু ভাল ছবি দেখেছি এরমধ্যে যেমন নোম্যান ল্যান্ড, দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন, পাশাপাশি বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ ও। যেমন Spy, The Serpent এবং Schitts Creek এর মতো ওয়েব সিরিজ দেখেছি। তবে আমি প্রচুর ডকুমেন্ট্রি দেখে থাকি।
এখন যা অবস্থা তাতে শরীরচর্চা খুব জরুরী। শরীরচর্চার জন্য তুমি কি করছ? মানে প্রানায়াম যোগা বা ব্যায়াম!
আমি ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাটি। সেভাবে প্রানায়াম না করলেও যোগা এবং স্ট্রেচিং করতে ভালবাসি।
এখন একটা জিনিসের চাহিদা বিরাটভাবে বাড়ছে তা হল গেমিং। অর্থাৎ ঘরে বসে গেম খেলছেন প্রচুর মানুষ। তুমি কি গেম খেলছো? বা কত সময় গেমের পেছনে দিচ্ছ?
ছোটবেলায় বিশেষ করে টিন এজ থাকার সময় প্রচুর খেলেছি। এককথায় ভীষণভাবে গেমের নেশা ছিল আমার। তাই এখন এর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি।
অনেকসময় মন খারাপ শুধু ঘরে বসে থেকে। আগে মন খারাপ হলে বেরিয়ে বা ঘুরে বা রেস্তরাঁতে গিয়ে সময় কাটানোর ব্যাপার ছিল এখন সেই অপশান নেই। মন খারাপ হলে কি কর?
আমি সাইকোলজির স্টুডেন্ট তাই সহজেই বুঝতে পারি যে কখন আমি উদ্বিগ্ন বা হতাশ হয়ে পরছি। আমার পরিবারের প্রচুর মানুষ এবং আমার অনেক বন্ধু আছে যাদের সাথে নিজের চিন্তাভাবনা শেয়ার করি, একে ওপরের মানুষিক সাপোর্ট পাই সোজা কথায়। তবে যেটা তৎক্ষণাৎ ওষুধের কাজ করে তাহল গান। আমি প্রচুর পরিমানে গান শুনি।