ডিফেন্স

চীনের পরমাণু চালিত সাবমেরিন গুলি শনাক্ত করতে ভারতের নৌবাহিনীর অসুবিধা হবেনা। কিন্তু কেন? কি এমন টেকনোলোজি আসতে চলেছে?

নিউজ ডেস্কঃ চীনের হাতে যে প্রচুর পরিমানে বিধ্বংসী অস্ত্র আছে তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু তাদের এই বিধ্বংসী অস্ত্র গুলির ক্ষমতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। কারন চীনের তৈরি করা অস্ত্র নিয়ে যে বিরাট বিপদের সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান থেকে শুরু করে আফ্রিকার দেশ গুলি তা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে তাদের বাদ দেওয়া বা ব্যবহার অযোগ্য অস্ত্র তারা বিদেশে বিক্রি করে দিয়ে থাকে। তবে তাদের তৈরি ব্যালেস্টিক সাবমেরিন গুলি নিয়ে বিরাট চিন্তার কারন চীন নিজেই। কারন তাদের বেশ কিছু সাবমেরিন সমুদ্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আবার এমনও হয়েছে যে সাবমেরিন নিখোঁজ হয়ে গেছে বহু মাস পরে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীরা পরে খোঁজ দিয়েছে। 

ঠিক তেমনই চীনের সাবমেরিন হল জিন ক্লাস সাবমেরিন। এটিতে ১২টি জেএল-২ এসএলবিএম আছে যার রেঞ্জ ৭,২০০কিমি। ৩ থেকে ৮টি এমআইআরভি বহন করে যার এক একটির ক্ষমতা ১৫০কিলোটন। 

তবে সবথেকে বড় ব্যাপার হল চীনের সবমেরিন গুলিকে শনাক্তকরণ করা। তাদের সাবমেরিন গুলি এতটাই শব্দ করে যে তাদের শনাক্ত করতে সোনার লাগবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত সাবমেরিন গুলির থেকেও এর আওয়াজ বেশি। কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে স্টেলথ প্রধান ব্যাপার নয়, প্রধান ব্যাপার হল যে জায়গা। তবে চীনের বিষয়ে তেমন কোন ব্যাপার নেই। 

দক্ষিন চীন সাগরে এখন আমেরিকা, জাপান, কোরিয়ার পাশাপাশি তাইওয়ান এবং ভিয়েতনাম অ্যান্টি সাবমেরিন নজরদারি চালায়। বিশেষ করে জাপান এবং আমেরিকার অ্যান্টি সাবমেরিন টেকনোলোজি মারাত্মক। পাশাপাশি ভারত মহাসাগরেও আমেরিকার নৌবাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। 

বেশ কিছু বছর ধরে ভারতের নৌসেনাও অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ারে বিশেষভাবে গুরুত্ত্ব দিয়েছে। কিছু বছরের মধ্যে অ্যান্টি সাবমেরিন টেকনোলোজি যুক্ত হবে ভারতে নৌবাহিনীতে। 

চীনের এই সাবমেরিন গুলি অত্যন্ত বড় টার্গেট এই দেশ গুলির কাছে। অন্যদিকে জিন ক্লাসের এই সাবমেরিন গুলি অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবন। বহুবার সাবমেরিনের হাল লিক করে জল ঢুকে গেছে। এই সাবমেরিন গুলিকে টাইপ 094 সাবমেরিনও বলা হয়ে থাকে। মোট ৬ টি এই ক্লাসের সাবমেরিন চীনের নৌবাহিনীতে একটিভ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *