ডিফেন্স

চীন, পাকিস্তানের ঘুম যেকোনো সময় কেড়ে নিতে পারে ভারতের থাকা ধানুশ মিসাইল। পরমানু ক্ষমতা সম্পন্ন এই মিসাইল গুলির রেঞ্জ এবং ওজন কত জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ শত্রুপক্ষের ঘুম ওড়াতে একের পর এক মিসাইল সার্ভিসে নিয়ে আসছে ভারতের সেনাবাহিনী। বিশেষ করে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য দেশীয় মিসাইল গুলির উপর নজর দেওয়া হচ্ছে। ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে থাকা অন্যতম একটি বিধ্বংসী মিসাইল হল ধানুশ মিসাইল। একাধিক রেঞ্জের এই ধানুশ মিসাইল পরমানু আক্রমনে সক্ষম।

ভারতে তৈরি শর্ট রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইলগুলি মধ্যে একটি হল এই ধানুশ মিসাইল। যার ভর ৪৫০০ কেজি, দৈর্ঘ্য ৮.৫৩ মিটার এবং ব্যাস ০.৯ মিটার। এই মিসাইলটি ভারতীয় নৌবাহিনী সার্ভিসে রয়েছে বর্তমানে। দেশীয় মিসাইলটি ভূমি থেকে ভূমি এবং জাহাজ থেকে জাহাজে আক্রমণ করতে সক্ষম। মিসাইলটির ডিজাইন করেছে ডিআরডিও এবং এটি ম্যানুফ্যাকচার করেছে ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড। পারমানবিক ক্ষমতা সম্পন্ন ধানুশের ওয়ারহেডের মধ্যে আছে ফ্র্যাগমেন্টেশন, থার্মোবারিক এবং পারমানবিক অস্ত্রের মত বিধ্বংসী জিনিস। 

ধানুশ  ৩৫০ কিমি দূরত্বে জন্য ১০০০ কেজি ওয়ারহেড বহন করে, ৬০০ কিমির জন্য ৫০০ কেজি এবং ৭৫০ কিমি  দূরত্বের জন্য ২৫০ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। 

ধানুশ মিসাইলকে অ্যান্টি শিপ মিসাইল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এই মিসাইলটি তার রেঞ্জের উপর নির্ভর করে শত্রুপক্ষের সীমানাকে ধ্বংস করতে পারে। মিসাইলটিকে বহুবার পরীক্ষা করা হয়েছে। এটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হয় ২০০৯ সালে ১৩ ই ডিসেম্বর চণ্ডীপুরে আই এন এস সুভদ্রা থেকে নিক্ষেপ করে। এরপর ৫ অক্টোবর ২০১২ সালে, ২৩ শে নভেম্বর ২০১৩ সালে, ৯ ই এপ্রিল ২০১৫ সালে এবং ২৪ শে নভেম্বর ২০১৫ সালে ওড়িশা উপকুলে  আই এন এস সুভদ্রা থেকে নিক্ষেপ করে পরীক্ষা করা হয়েছিল যাতে আবারও সফলতা লাভ করে ছিল এই দেশীয় মিসাইলটি। 

২০১৫ সালে ডিসেম্বর মাসে এই মিসাইলটিকে INS রাজপুত থেকে নিক্ষেপ করা মিসাইলটির রেঞ্জ ৩৫০ কিমি ছিল যা স্থল্ভাগের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গিয়ে আঘাত করে  এবং পরীক্ষায় সফলতা লাভ করেছিল। এরপর আরও কয়েকবার এই মিসাইলটিকে পরিক্ষা করা হয়েছিল তাতেও সফলতা লাভ করেছিল।

এই ধানুশ মিসাইলটিকে পৃথ্বী III মিসাইলের একটি বৈকল্পিক রুপ বলা যেতে পারে।  এই মিসাইল গুলি সমুদ্র থেকে যাতে শত্রুপক্ষের ভূভাগের মধ্যে আক্রমন করতে পারে তার কথা চিন্তা করেই তৈরি করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *