ভারতীয় নৌবাহিনীতে ফের ভয়ঙ্কর সাবমেরিন
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের হাতে একের পর এক সাবমেরিন হাতে আসছে। ২০২১ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত ভারতের নৌবাহিনীর বিরাটভাবে আপগ্রেড করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। বিশেষ করে এই দশক নৌবাহিনীর জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের হাতে বেশ কিছু পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন সাবমেরিন আসবে। এবং তা ভারতেই তৈরি হবে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারতবর্ষে সাবমেরিন তৈরি হয়েছে। ভারত এবং ফ্রান্স যৌথভাবে তৈরি করেছে স্করপিয়ন ক্লাস সাবমেরিন যা নৌবাহিনীর কাল্ভেরি ক্লাস সাবমেরিন বলা হয়ে থাকে।
এই গোত্রের মোট ৩ টি সাবমেরিন ভারতের নৌবাহিনীর হাতে রয়েছে। যা মুম্বইয়ের মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্সের অধিনে তৈরি হয়েছে।
এই সাবমেরিন গুলি বিভিন্ন মাপের হলেও ভারতবর্ষের হাতে থাকা সাবমেরিন গুলির মধ্যে আই এন এস খাঞ্জারা বা এই স্করপিয়ান ক্লাসের সাবমেরিনটি ৬৭.৫ মিটার লম্বা৷ উচ্চতা ১২.৩ মিটার৷ এর হাল ফর্ম, ডানা ও হাইড্রোপ্লেন বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে৷ সমুদ্রের নিচে ৩৫০ মিটার বা ১১৫০ ফুট গভীর পর্যন্ত যেতে সক্ষম।
স্কর্পিন সাবমেরিনের বিশেষত্ব এটি ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন৷ মূলত অন্য কোনও সাবমেরিনে হামলা চালাতে এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়৷ রাশিয়ার নৌসেনা নেভি একে ‘মাল্টি পারপাস সাবমেরিন’ বলে৷ এই ধরনের কিছু কিছু সাবমেরিন থেকে ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়া সম্ভব৷
আইএনএস কারাঞ্জ সাবমেরিনটি শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের দিকে নির্ভুলভাবে আক্রমন করতে সক্ষম। এছাড়া টর্পেডো এবং অ্যান্টি সিপ মিসাইল দিয়ে হামলাও চালাতে পারে এটি৷ যে কোনও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আসার জন্য বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এর৷ পাশাপাশি এটি জলের গভীরে ৫০ দিন অনায়াসে কাটাতে সক্ষম।
এই বিশেষ সাবমেরিনটি শত্রুর জাহাজ ধ্বংস করার জন্য ১৮ টি বিধ্বংসী অ্যান্টি শিপ মিসাইল রয়েছে, যা ১৮০ কিমির মধ্যে যেকোনো যুদ্ধজাহাজকে ধ্বংস করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই মিসাইল গুলি এতোটাই ভয়ংকর যে এগুলি ফাইনাল ষ্টেজ না আসার আগে পর্যন্ত শত্রুপক্ষ জানতেও পারবেনা যে তাদের যুদ্ধজাহাজের দিকে মিসাইল ধেয়ে আসছে।
পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন সাবমেরিন গুলিতে শব্দ হয়, যার কারনে শত্রুপক্ষ টের পেয়ে যায় সাবমেরিনের অবস্থান। তবে আই এন এস কাল্ভেরিতে এয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট প্রপালসান সিস্টেম থাকার কারনে ২১ দিন পর্যন্ত নিঃশব্দে গোপন মিশনে থাকতে সক্ষম। জলের গভীরে থাকলে এই সাবমেরিন গুলি ২২ কিমি/ ঘণ্টার গতিবেগে চলতে সক্ষম। আর জল অর্ধ নিমজ্জিত থাকলে ৩৭ কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে চলতে সক্ষম।জলে ভেসে থাকলে সাবমেরিনটির রেঞ্জ ১২০০০ কিমি কিন্তু জলের গভীরে থাকলে তা ১০০০ কিলোমিটার। সুতরাং সাবমেরিন যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নজরদারি বিশেষভাবে চালাতে সক্ষম তা আর বলার দরকার নেই।