১১ জন বিজ্ঞানীর মৃত্যু
নিউজ ডেস্কঃ মিসাইল ম্যান। শব্দটি শোনার সাথে সাথেই যার কথা মাথায় আসে তিনি এ পি জে আব্দুল কালাম। ভারতবর্ষের একাধিক বিধ্বংসী মিসাইল থেকে শুরু করে পরমানু পরীক্ষা বা ভারতবর্ষের পরমানু শক্তিধর রাষ্ট্র হওয়ার পেছনে যে মানুষটির দান অনস্বীকার্য। তবে কি কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে ভারতবর্ষের এই পরমানু নিয়ে গবেষণা করে কতজন মানুষ রয়েছে? বা কতজন মানুষ ছিলেন। ভারতবর্ষের প্রচুর বিজ্ঞানী অকালে মারা গেছেন বা কেউ জেলেই আমৃত্যু কাটিয়েছেন যা অনেকের কাছেই অজানা। কারনে এর পেছনে আন্তর্জাতিক মাফিয়া থেকে শুরু করে আমেরিকার মতো দেশের ইন্ধন থাকে।
২০০৯ থেকে ২০১৯, অর্থাৎ মাত্র ৪ বছরে ভারতবর্ষের ১১ জন পরমানু বিজ্ঞানী মারা গেছেন, কারন আজও অজানা। এর পেছনে কারা রেয়েছেন? বা কেন তারা মারা গেছেন? কি কারন ছিল তাদের এই মৃত্যুর জন্য? এরকম অনেক প্রশ্নই মাথায় আসছে যা এখনও কেউ জানেন না। এবং সবথেকে বড় প্রশ্ন হল এই যে সরকার কি করছে? কারা রয়েছে এদের পেছনে? কেন তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে না? এবং সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে এরকম চলতে থাকলে আমাদের দেশের নিরাপত্তা কোথায় যাবে ভেবে দেখেছেন?
তাহলে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সূরক্ষা না থাকলে কে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে দেশের কাজে আসবে ? কেনই বা তারা দেশে থাকবে বলুন তো? কেন তারা দেশের বাইরে চলে যাবেনা? এদেশে ইসরোর বিজ্ঞানীকে জেলে দিয়ে পেটানো হয়, আরেক বিজ্ঞানীকে বিষ পান করিয়ে তার শরীর নষ্ট করার চক্রান্ত করা হয়।
পরমাণু বিজ্ঞানীদের মেরে ফেলার কাজ আজ থেকে নয়, বহু বছর ধরে চলে আসছে। স্যার হোমি জাহাঙ্গির ভাবার প্লেনক্র্যশের সময় থেকে চলে আসছে এই ঘটনা। যা নিয়ে আজও হয়ত সেভাবে তাপ উত্তাপ নেই। আর কত জন বিজ্ঞানী প্রান দিলে ভারতবর্ষের বিজ্ঞানীরা সূরক্ষিত হবে বলুন তো?