ডিফেন্স

চীনের যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে কতোটা শক্তিশালী ভারতের তেজাস?

নিউজ ডেস্কঃ তেজাস হাতে আসার পর যে চীন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়তে সুবিধা হবে ভারতীয় সেনার তা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। কারন দেশীয় প্রযুক্তির তেজাস যেকোনো মুহূর্তে চীন এবং পাকিস্তানের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। এই লাইট কমব্যাট যুদ্ধবিমানকে মিগ ২১ এর সাথে রিপ্লেস করা হচ্ছে। তবে চীন এবং পাকিস্তানের কাছেও রয়েছে এই ধরনের যুদ্ধবিমান জেএফ ১৭। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন জে চীনের তৈরি যুদ্ধবিমানের থেকে সেনাবাহিনীর হাতে থাকা দেশীয় যুদ্ধবিমান তেজাস কতোটা এগিয়ে?

ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সে থাকা অন্যতম সেরা যুদ্ধবিমান হল তেজাস। তেজসের প্রতিটি পদক্ষেপকের উপর নজর রাখছে চীন এবং পাকিস্তান৷ কারণ চিন ও পাকিস্তানের যৌথ ভাবে তৈরি করা জেএফ-১৭ থাণ্ডার কিছুটা হলেও পিছিয়ে রয়েছে তেজাসের থেকে এমনটাই মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

তুলনা করলে এগিয়ে থাকবে কে? কি বলছে সমীক্ষা? এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক

এলসিএ তেজস: ভারতের এই লাইট কমব্যাট যুদ্ধবিমানে রয়েছে সমস্ত রকমের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি৷ ফ্লাই বাই ওয়্যার ফ্লাইট কনট্রোল সিস্টেম, অত্যাধুনিক ডিজিটাল ককপিট, মাল্টিমোড ব়্যাডার সিস্টেম, ইন্ট্রিগ্রেটেড ডিজিটাল অ্যাভিওনিস সিস্টেম, ফ্ল্যাট রেটেড ইঞ্জিন৷ পাশাপাশি তেজাসে নাইট ভিসন কমপ্যাটিব্যাল গ্লাস ককপিটের মতো সিস্টেম রয়েছে৷পাশাপাশি তেজাসে রয়েছে ব়্যাডার ওয়ার্নার রিসিভার, জ্যামার, লেজার ওয়ার্নার, মিশাইল অ্যাপ্রোচ ওয়ার্নার৷

জেএফ১৭ থাণ্ডার: চিন এবং পাকিস্তান যৌথভাবে তৈরি করেছে জেএফ-১৭ থাণ্ডার যুদ্ধবিমান৷ এটি অনেকটা সেমি-মোনোকউ এবং এই যুদ্ধবিমানটির সার্ভিস লাইফ চার হাজার ঘণ্টা বা ২৫ বছর। জেএফ-১৭ তে রয়েছে ফাইট কনট্রোল সিস্টেম, কমপ্রাইসিং কনভেনশানাল কন্ট্রোল রোল অ্যাক্সিস, ফ্লাই বাই ওয়্যার সিস্টেম৷ রাশিয়ান ক্লিমোভ আরডি-৯৩ টারবোফ্যান ইঞ্জিনও ব্যবহার করা হয়েছে এই এয়ারক্রাফটে৷

ব্যাটেল ফিল্ডে এই যুদ্ধবিমানের মুখোমুখি দেখা না হলেও সামরিক বিশেষজ্ঞরা তেজাসকে এগিয়ে রাখছেন, কারন চীনের তৈরি জিনিস নিয়ে সর্বদা একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। অন্যদিকে চীন কোয়ালিটি নয় কোয়ানটিটিতে বিশ্বাস করে।

বর্তমানে ভারতের তৈরি তেজাস সারা পৃথিবী জুড়ে বেশ কয়েকটি দেশ ক্রয় করতে চেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *