ডিফেন্স

মস্তিষ্কের জটিল সমস্যা ঠিক করত পারে। ফুলকপির অসাধারণ ১০ উপকারিতা

ওয়েব ডেস্কঃ ফুলকপি আমাদের অতি পরিচিত শীতকালীন সবজি।ফুলকপির সাদা অংশটুকু বেশি খাওয়া হলেও এর চারিপাশে থাকা ডাটা ও পাতা দিয়ে তৈরি হয় সবজি ভাজি ও স্যুপের মতো খাবার।ফুলকপিতে রয়েছে অজস্র গুনাগুন।যার গুনাগুণ সম্পর্কে ধারনা দেন ১২০০-১৩০০ শতকের আরব বিজ্ঞানিদের থেকে।

এক কাপ সেদ্ধ ফুলকপিতে রয়েছে প্রায় ৫৫ গ্রাম ভিটামিন সি। যা ফ্যাট বার্ন করার একটি কার্যকারী উপাদান। এবং ফোলেট যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।

ফুলকপিতে থাকে গ্লুকোরাফিন যা পাকস্থলীর ঝিল্লি রক্ষা ছাড়াও পাকস্থলীতে হ্যালব্যাকটার পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়াকে জন্মাতে দেয় না। এছাড়াও পাকস্থলীর আলসার ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।

ফুলকপিতে রয়েছে জিংক যা নতুন কোষ সৃষ্টি করে ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।

নিয়মিত ফুলকপি খেলে হাড়, দাঁতকে মজবুত থাকার পাশাপাশি স্নায়ুকে সচল রাখে।

এটি খাদ্য তালিকায় ভিটামিন কে-এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। যা ক্ষতস্থান্রে রক্ত জমাট বাঁধার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। এক কাপ ফুলকপিতে আছে প্রায় ১১ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে।

ফুলকপিতে আছে ক্যারোটিনয়েডস (জেম্ন-বিটা ক্যারোটিন)এবং ফাইটোহরমোন যা এন্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার পাশাপাশি ক্যান্সার ও হৃদয়রোগের ঝুঁকি কমায়।

গর্ভবস্থায় ফুলকপি খাওয়া অত্যন্ত ভালো অভ্যাস। এর পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিনসমূহ কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। এটি মাতৃগর্ভে ভ্রুনের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।

এর ম্যাগনেসিয়াম প্যারাথাইরয়েডকে উদ্দীপিত করে। হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ফসফরাস হাড় শক্ত করে।

ফুলকপির সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পাশাপাশি ক্রনিক ইনফেকশান কমাতেও এটি কার্যকরী । এটি সোডিয়ামের উৎস যা রক্তে সঠিক ঘনমাত্রা বজায় রাখে।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এটি ইনফ্ল্যামেশনের সম্ভাবনা কমায়। এক কাপ ফুলকপি সিদ্ধতে থাকে .২১ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মস্তিকের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *