ডিফেন্স

ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে আমেরিকা। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হামলা করতে আসতে চলেছে বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান

নিউজ ডেস্কঃ ভবিষ্যতে যে যুদ্ধের টেকনিক বদলাতে চলেছে তা ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। যুদ্ধ শুধু জল, স্থল বা আকাশ পথে নয় অন্তরীক্ষেও হতে পারে। এবং স্যাটেলাইট যুদ্ধের মতো বিষয় ইতিমধ্যে প্রকাশও পেয়েছে।

এল্টন মাস্ক এর স্পেস এক্স রকেট মার্কিণ বিমান বাহিনীর ট্রান্সপোর্টার বিমান সি 17 গ্লোবেমাস্টার কে কি রিপ্লেস করতে চলেছে? এমনটাই মত অনেক বিশেষজ্ঞদের।

ভবিষ্যৎ এর যুদ্ধ তার টেকনিক এক যুগান্তকারী আমূল পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে কিছু প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।,ষষ্ঠ প্রজন্মের বিমান ,ড্রোন , আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ,সোয়ারম ড্রোন, রোবট সেনা হাই এনার্জি উইপন , হাইপার্সোনিক মিসাইল ইত্যাদি।

ভবিষ্যতে যুদ্ধ যেহেতু বহু ফ্রন্টে যেমন জল ,স্থল আকাশ ছাড়া মহাশূন্যে তার ব্যাপ্তি হবে। তাই নিরাপদে হাজার মাইল দূরে থেকে নিরাপদে বহু সংখ্যায় সেনা ও উপকরণ পাঠানোর প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা হবে।

এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ মাধ্যমে মার্কিন সামরিক দপ্তর ইউনাইটেড স্টেটস মিলিটারি কম্যান্ড, যারা সেনার লজিস্টিক্স অপারেশন দেখভাল করে। প্রথম সারির মার্কিন স্পেস কোম্পনি স্পেস এক্স এর সঙ্গে দুনিয়ার যে কোন স্থানে 1 ঘন্টা বা 60 মিনিটের মধ্যে বহুল মাত্রায় সেনা ও যুদ্ধের উপকরণ পাঠানোর ভেহিকেল নির্মাণ করবে।

ইউনাইটেড স্টেটস ট্রান্সপ্ৰরটেশন কম্যান্ড TRANSCOM এল্টন মাস্ক এর সাথে আমেরিকান এরোস্পেস এন্ড স্পেস এক্সপ্লোরেশন বা স্পেস এক্স আর স্পেস এক্সপ্লোরেশন এন্ড আর্কিটেকচার XArc এর সঙ্গে এক চুক্তি করেছে , যারা স্পেস স্টেশন আর স্পেস ক্র্যাফট নির্মাণ ও ডিজাইন করবে।

জেনারেল স্টিফেন আর লিওন TRANSCOM এর কমান্ডার জানিয়েছেন যে তারা  প্রোটোটাইপ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন, যারা একটি বিশাল কার্গো বিমান এর সমতুল্য ওজন পরিবহন করবে।

এই প্রজেক্ট বহু সম্ভাবনা আছে সিভিলিয়ান ক্ষেত্রেও । পাশাপাশি স্পেস এক্স এর একসঙ্গে তারা এই প্রজেক্ট সফল ভাবে তারা শেষ করবেন।  তিনি আশা করছেন যে  প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে হবে 2021 সালে। ন্যাশনাল ডিফেন্স ট্রান্সপ্ৰর এর এক মিটিং তিনি জানিয়েছিলেন যে আমরা এই বিষয়ে দ্রুত এগোচ্ছি।

এই ভেহিকেল রিপ্লেস করবে মার্কিন বিমান বাহিনীর ওয়ার্ক হর্স C 17 চার ইঞ্জিনের গ্লোবেমাস্টার কে। যার বহন ক্ষমতা 82 টন ওজন নিয়ে উড়তে পারে। 1990 সাল থেকে মার্কিন বিমান বাহিনীর মূল স্তম্ভ রাগেড টেরেইন দুনিয়া জুড়ে মার্কিন সেনা ও উপকরণ এরাই বর্তমানে বহন করে। আমেরিকার কাছে দুই শতাধিক বিমান আছে এই প্রকার।

ইউ এস ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট এর লিগালিটি , ডিপ্লোম্যাটিক ও রেগুলেটরি ইস্যু গুলো বর্তমানে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে । এক স্পেস স্টেশন বা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে দুনিয়ার ওপর প্রান্তের একটি স্পেস অবতরণ কেন্দ্রে এই ভেহিকেল গুলো যাত্রা ও অবতরণ করতে পারে।

যদিও বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন বিষয়টি জটিল কমার্শিয়াল স্পেস প্রোগ্রাম কে সামরিক ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা। এটা কয়েক বছর হবে না এতে কয়েক দশক লাগতে পারে। কিন্তু একবার ভাবুন কি আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে ভবিষ্যতে যুদ্ধ ক্ষেত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *