ডিফেন্স

তুরক্সের পাইলটরা জেলে ভরা হয়েছে। তুরস্কের যুদ্ধবিমান গুলি ওড়াতে নেওয়া হচ্ছে ফেক লাইসেন্স প্রাপ্ত পাকিস্তানের পাইলটদের। কত পাইলট নেওয়া হল?

নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তানের নতুন বন্ধু তুরস্ক। আর ভারতের নতুন শত্রু। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বেশ বেড়েছে। আর সেই কারনে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সমীকরণও বদলেছে।

পাকিস্তান এবং তুরক্স একজত হয়েছে গ্রীসের বিরুদ্ধে।  ইজিয়ান সাগরে তেল গ্যাস তো আছেই পাশাপাশি এই দুই রাষ্ট্রের কাছে এটা এক ধার্মিক যুদ্ধের পর্যায়ে পড়ছে। সবচেয়ে চমকপ্রদ হল পাকিস্তান বিমান বাহিনীর PAF পাইলট রা তুর্কির এফ 16 বিমানগুলো ওড়াচ্ছে।

এর কারণ? তুর্কির কি নিজের বৈমানিক নেই সমস্যা। আসলে অসুবিধা হল এই যে ইসলামিক কট্টর বাদী প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বিরুদ্ধে।  ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা ও জন আন্দোলন খবর সবাই জানে।,বর্বরভাবে বহু উদারবাদী নেতা নেত্রী কে খুন করে, জেলে আটকে বিদ্রোহ দমন করা হয়েছিল। আর সেনা বাহিনীর মধ্যে যারা উদারবাদী তাদের বরখাস্ত করা হয়। অনেককে জেলে কাউকে কোর্ট মার্শাল মৃত্যুদণ্ড দিতে পিছুপা হয়নি।

তুর্কির ডিফেন্স মিনিস্ট্রি নিজেদের মতে বিমান বাহিনীর ৬৪০ জন পাইলট বরখাস্ত করছিল তাদের মধ্যে অনেকে জেলে। মোট পাইলটের সংখ্যা ছিল ১৩৫০। বাকি ৬৭০ জনের মধ্যে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়েছেন। পাশাপাশি প্রতিবাদ করতে অনেকে অবসর গ্রহন করেছেন। অবশিষ্ট পাইলটের সংখ্যা মাত্র ৪০০।

এই বিশাল কমতি দূর করতে ২০১৭ সালে তুর্কির ডিফেন্স মিনিস্টি অবসরপ্রাপ্ত ও বেসরকারি পাইলটদের আর্থিক প্যাকেজ অফার করে বিমানবাহিনী তে যোগ দিতে।তবে মাত্র ৫০ জন পাইলট এই পদ্ধতিতে কাজে যোগ দেন।

তুরস্কে মরিয়া হয়ে দেশে পাইলটের সংখ্যা বাড়ানো জন্য। স্কীম ও আর্থিক প্যাকেজ অফার করে স্নাতক দের মধ্যে। তবে এতেও কোন ফল না হওয়ায় তারা তাদের মিত্র রাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে সাহায্য চায়। পাকিস্তান ও এফ ১৬ বিমান অপারেট করে আর তুর্কির বিমান বহর প্রধান বিমান হল এফ ১৬।

কিন্তু এতেও মুশকিল আসে। কারন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান পাইলট দের তাদের ট্রেনিং দিতে অস্বীকার করে। কারণ মার্কিন অবরোধ আছে পাকিস্তানিদের উপর সেনা সহায়তার উপর। ২০১৯ সালে তুরস্ক  এর উপায় বের করে তারা নিজেরাই। পাকিস্তান পাইলট দের তুর্কির ট্রেনিং রীতিনীতি শিক্ষা দিতে শুরু করে, তুর্কির কোম্পানি yontem teknoliji পাকিস্তান পাইলট দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করে।

যদিও লিখিতভাবে ২০২০ সালে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়, কিন্তু ২০১৯ সালেই এর প্রাথমিক কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছিল। এদিকে দলে দলে পাক পাইলট রা তুরস্কের যুদ্ধবিমান গুলি ওড়াতে শুরু করেছে। পাশাপাশি  এদিকে আরো টার্কিশ পাইলট রা কাজ ছাড়তে শুরু করেছে, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে সর্বপ্রথম ইতিহাসে তুরস্কের বিমানবাহিনীর বেশির ভাগ পাইলট বিদেশি।

সুতরাং এবার ভবিষ্যতে যখন গ্রিস তুরস্কের বিমান যুদ্ধ দেখবেন ইজিয়ান ও মেডিটেরিয়ান অঞ্চলে জানবেন তুরস্কের আর পাকিস্তান এর পাইলটরা একসাথে যুদ্ধ করছে গ্রিক দের বিরুদ্ধে। অবশ্যই আধুনিক উপকরণ টেকনোলজি যুদ্ধে জেতার উপায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *