৭ লক্ষের বেশি রাইফেলের পাশাপাশি এই বিধ্বংসী হেলিকপ্টার গুলি তৈরি হতে চলেছে এবার দেশেরই মাটিতেই
নিউজ ডেস্কঃ ভারত চীন উত্তেজনাতে চীনের এয়ার ডিফেন্সের ক্ষেত্রে যে কি রোল প্লে করতে পারে রাশিয়ার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এস ৪০০ তা বলাই বাহুল্য। কারন চীনের আকাশকে সুরক্ষা প্রদান করতে তাদের হাতে রয়েছে রাশিয়ার এস ৪০০। তবে ভারতের কাছে এই সিস্টেম না থাকার কারনে বেশ চাপে সেনাবাহিনী। কারন ভারতের আকাশে সুরক্ষা দেওয়ার মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থাকলেও তা কিছু ক্ষেত্রে এস ৪০০ এর থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে।
সময়ের আগেই ভারতের হাতে ভূমি থেকে আকাশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে মস্কো। এই বিষয়টিকে অত্যন্ত প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। স্বাভাবিক নিয়মে এই ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের প্রথম ব্যাচ ভারতের হাতে আসার কথা ২০২১ এর শেষের দিকে। কিন্তু, চিন সীমান্তে সংঘাতের আবহের কারনে রাশিয়ার কাছ থেকে এই সিস্টেম তাড়াতাড়ি পেতে চাইছে ভারত।
রুশ ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তারিখের অদলবদল হচ্ছে না। প্রথম ব্যাচ ২০২১ সালের শেষের দিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে, তা এগিয়ে আনার সম্পূর্ণ চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয় ভারতবর্ষের। এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের পাঁচটি ইউনিট ক্রয় করার চুক্তি করে ভারতবর্ষ। এর জন্য প্রথম কিস্তি হিসেবে মস্কোকে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয় নয়াদিল্লি।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের পাশাপাশি, কামোভ কা-২২৬টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন বাবুশকিন। ভারতীয় সেনার জন্য ২০০টি কামোভ কা-২২৬টি কপ্টার যৌথভাবে নির্মাণের চুক্তি করতে উভয় দেশ অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই চুক্তির আগে পারস্পরিক সরবরাহ সহযোগিতা চুক্তি সারা হলেই নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। চুক্তি অনুসারে ৬০টি কপ্টার রাশিয়া থেকে একেবারে তৈরি হয়ে ভারতে আসবে। বাকি ১৪০টি প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে তৈরি হবে ভারতবর্ষের মাটিতেই।
এছাড়া, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একে-২০৩ রাইফেল তৈরি করার চুক্তি করেছে রাশিয়া। উত্তরপ্রদেশে এর জন্য বিশেষ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিও গঠিত হয়েছে। ভারতে ৭ লক্ষের বেশি এই রাইফেল তৈরি হবে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও এই রাইফেল প্রয়োজনে রফতানিও করা যাবে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বাড়তি সুখোই সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানের বরাতের সম্ভাবনার কথাও উঠে আসে ডেপুটি চিফ অফ মিশনের মুখে। এছাড়া রয়েছে যুদ্ধট্যাঙ্ক, ফ্রিগেট ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র। এরসকল কিছু বরাতের বিষয় নিয়েও ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।