ডিফেন্স

ভারতবর্ষের স্পেশ বিজ্ঞানীকে দীর্ঘদিন মিথ্যা অভিযোগে জেল খাটানো হয়েছিল। ডনাল্ড ট্র্যাম্পের বিপরীতে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন সেই রাজনীতিবিদ

নিউজ ডেস্কঃ ডনাল্ড ট্র্যাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একাধিক তর্ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে একাধিক পর্ণস্টার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করেছিল। এবং তা থেকে মুক্তি পেতে রীতিমতো বিরাট অর্থ খরচ করতে হয়ছিল তাকে। এবার সেই আমেরিকার আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু করে হতে চলেছে। আর এবার ত্রাম্পের বিপরীতে আছেন জো বাইডেন

আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে আছে জো বাইডেন। কিন্তু জো বাইডেনের একটা ইতিহাস অনেকের অজানা।

১৯৯২ এর দিকে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে। রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। সেই সময় আমেরিকা রাশিয়া কে সাহায্য করার জন্য কোন ২৪ বিলিয়ন ডলারের একটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষনা করে। একই সময় কিছুদিন আগে ভারত রাশিয়ার সাথে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন টেকনোলজির জন্য। ভারতের স্পেশ পোগ্রামের জন্য বিশেষ করে GSLV ও PSLV রকেটের জন্য এই ইঞ্জিন খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বুশের ভারত-রাশিয়া এই চুক্তির কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু একজন ডেমোক্রেট সেনেটর বলে বসে যদি রাশিয়া ভারত কে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন টেকনোলজি দেয় তাহলে রাশিয়া কে ২৪ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্য আমেরিকা করবে না। একটা কথা ভেবে দেখুন সেই সময় অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়া রাশিয়ার জন্য ভারতের ২৫০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় আমেরিকার ২৪ বিলিয়ন ডলার বেশী দরকারি ছিল। যারজন্য রাশিয়া চুক্তি ভেঙ্গে দেয়। কিন্তু সেই একই সময় চীন রাশিয়ার থেকে টেকনোলজি নেয় কিন্তু তাতে সেই ডেমোক্রেট সেনেটর এর কোন সমস্যা ছিল না। সেই ডেমোক্রেট সেনেটর ই হল আজেকের জো বাইডেন। এই পুরো ঘটনা ১৯৯২ এর “LA Times” এর একটি আর্টিকেলে প্রকাশ করা হয়েছিল, । এরপরেও ভারতের স্পেশ পোগ্রাম বন্ধ করার জন্য আমেরিকা সহ বিভিন্ন ফরেন এজেন্সি অনেক চেষ্টা করেছে। ১৯৯৪ এ একজন স্পেশ বিজ্ঞানী নামবি নারায়ন কে দীর্ঘদিন মিথ্যা অভিযোগে জেল খাটানো হয়েছিল, এ সবের পেছনেও সিআইএ ছিল উদ্দেশ্য ভারত কে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন তৈরি করতে না দেওয়া। কিন্তু দেরীতে হলেও আমারা নিজেরাই ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন এখন ভারতবর্ষ তৈরি করেছে।

তবুও সব শেষে ভারতবর্ষ ১৯৯২ এ পড়ে নেই, বর্তমানে ভারত একটা গ্লোবাল পাওয়ার। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি যেই হোক না কেন ভারত কে স্বার্থ সিদ্ধির জন্য হলেও আমেরিকার দরকার চীনের বিপক্ষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *