ডিফেন্স

চীন, পাকিস্তান চাপে রাখতে খুব তাড়াতাড়ি এই অত্যাধুনিক টেকনোলোজি আসতে পারে সেনাবাহিনীর হাতে

নিউজ ডেস্কঃ এ্যওয়াক্স। ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে এই টেকনোলোজি প্রচুর পরিমাণে কম থাকায় একাধিক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বায়ুসেনাকে। ভারতের হাতে আজ প্রচুর পরিমাণে এই আও্যাক্স থাকার কথা। এই টেকনোলোজি থাকলে একাধিক সুবিধ পাওয়া যায়।

কি কি সুবিধা পাবেন এই টেকনোলোজি সেনাবাহিনীর হাতে থাকলে?

আপনার কাছে ১০০টা যুদ্ধবিমান আছে। কোনো ফাইটার বর্তমান যুগে অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ রেডার AESA নেই। কিন্তু আপনার ৪টে এ্যওয়াক্স আছে। আপনি মিশনে যাচ্ছেন যেখানে আপনার শত্রুপক্ষের ১০০টা ফাইটারের ৩০টা AESA রেডার যুক্ত। কিন্তু তার এ্যওয়াক্স নেই। এখন আপনি ১০০টি ফাইটার ওড়ালেন আর পাঁচটি এ্যওয়াক্স। আপনার ১০০টি ফাইটারের রেডার অফ। প্রতিটি এ্যওয়াক্সের সাথে ডাটা লিংক করে ২৫টি করে ফাইটার যুক্ত করা হল। এখন ১০০টি ফাইটারের রেডার হিসাবে কাজ করছে ৪টে এ্যওয়াক্স যা নির্দিষ্ট দূর থেকে আপনার ফাইটার ফ্লিটকে গাইড করছে। এক ধাক্কায় আপনার কাছে থাকা ১০০টি ফাইটারই AESA রেডারের সক্ষমতা অর্জন করলো।

আর আপনার শত্রুর কাছে রয়েছে ৩০টা ফাইটার AESA যুক্ত। কিন্তু একটিও এ্যওয়াক্স না থাকায় তার থেকে বেলি এ্যডভান্টেজ আপনি পেয়ে গেলেন। এটা একটা কাল্পনিক জগৎ বোঝানোর জন্য। কিন্তু কল্পনাটাই বাস্তব।

এ্যওয়াক্স শুধু ফাইটার ফ্লিটকে AESA সক্ষমতা প্রদান করে না। তাদের রেডার অফ থাকায় ইলেকট্রনিক সিগনেচার কমিয়ে তাদেরকে শত্রুর প্যসিভ সেন্সারের কাছে শনাক্ত হওয়ার সম্ভবনা কম করে। কারন এক্ষেত্রে প্যসিভ সেন্সর শুধু এ্যওয়াক্সে এমিট করা রেডিও ওয়েভই পাবে। যেখানে রেডার অন থাকলে সব রেডার গুলির সিগনেচার পেত।

এছাড়া এ্যন্টি ব্যলিস্টিক মিসাইল সিস্টেমে এ্যওয়াক্সের গুরূত্বপূর্ন ভূমিকা থাকে। এ্যওয়াক্সের কারনে অনেক দুরে থেকে ব্যলিস্টিক মিসাইলের হুমকিকে শনাক্ত করে এ্যন্টি মিসাইল সিস্টেমকে সচেতন করে। তাছাড়া এ্যওয়াক্স অনেক ওপর থেকে রেডার চালায় বলে পৃথিবীর ওভার দ্যি হরাইজনের সমস্যার সমাধান করে। তাই শত্রুর নেভাল শিপকেও দূর থেকে শনাক্ত করতে পারে। আর সিন্থেটিক এ্যপাচার রেডার ইমেজ তৈরি করে সার্ভেইল্যন্স চালাতেও সক্ষম। এ্যওয়াক্সের গুরূত্ব ভারতের সেনাবাহিনী আজ পরোখ করতে পারছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *