ডিফেন্স

-৪০ ডিগ্রীতে লড়তে বহু সংখ্যক ট্যাঙ্ক, হেভী আর্টিলারি গান মোতায়েন

নিউজ ডেস্কঃ পৃথিবীর সবথেকে উচ্চতম স্থানে পাহারারত অবস্থায় থাকে। ভারতীয় আর্মি শীতের বিরুদ্ধে লড়তে যে কতোটা পারদর্শী তা ভালো করেই বুঝিয়ে দিয়েছে গোটা পৃথিবীকে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি’ ক্রপস পৃথিবীর একমাত্র ফর্মেশন যারা হিমালয়ের উচ্চতায় একত্রে বহু সংখ্যক মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক ইনফেন্ট্রি কমবেট ভেহিকেল এবং হেভী আর্টিলারি গান এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে তীব্র শীতের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও,যখন হিমালয়ের তাপমাত্রা -৪০° অতিক্রম করবে সেই কঠিন সময়ের মধ্যেও।

ভারতীয় আর্মি ইতিমধ্যেই লাদাখের ডেমচক ও ডেপসাঙ সেক্টরে এই সব আর্মর ডিভিশনের বিপুল মোতায়েন করে রেখেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই আর্মর ডিভিশন আসন্ন শীত অনুযায়ী সম্পুর্ন তৈরী,যাতে প্রয়োজনে তীব্র শীতের মধ্যেও তারা অপারেশনে যেতে পারে।

মূলত মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক অফেন্সিভ ওয়েপন, ডিফেন্সিভ নয়। অর্থাৎ লাদাখে ভারতীয় আর্মির মোতায়েন করা T-90 এবং T-72 এর ব্যবহার যদি সত্যি হয়, তাহলে তার ব্যবহার LAC এর ওপারেই হবে, যেখানে প্রথমেই চীনের সাপ্লাই লাইনের ওপর ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে সেগুলিকে ধংস করে দেওয়া হবে। আর অবশ্যই এই অপারেশন হবে রাতের অন্ধকারে। আর রাতের অন্ধকারে মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এর জন্য সহজ টার্গেট হবে না,যদি না সেই হেলিকপ্টার অ্যাপাচির মতো হাইটেক হয় এবং হেলফায়ারের মতো নিখুত হয়। দুর্ভাগ্যবশত এই দুই নিখুত টেকনোলজি ভারতের শত্রুদের হাতে নেই।

পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক গুলি অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের স্ট্রাইক খেয়েও টিকে থাকতে পারে। কিন্তু লাইট ট্যাঙ্ক সেটি করতে সক্ষম নয়। অর্থাৎ ভারতের শত্রুর মোতায়েন করা টাইপ-১৫ লাইট ট্যাঙ্ক,নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তায় রয়েছে। এর প্রধান কারন হল,ভারতীয় আর্মির মোতায়েন করা মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্ক ও BMP-2 ইনফেন্ট্রি ফাইটিং ভেহিকেল গুলি থেকে, হেলিকপ্টার থেকে এবং আর্মির কাধ থেকে স্পাইক, মিলান,ATAKA, হেলফায়ার এর মতো অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল গুলি চীনা আর্মর ভেহিকেল ও লাইট ট্যাঙ্ক গুলির হিসাব নেবে। আর এগুলিকে আটকানোর ক্ষমতা তাদের লাইট আর্মরের নেই।

তাই ভারতীয় আর্মির মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্কের স্ট্রাইক প্রতিহত করার সবচেয়ে ভালো অপশন চীনের কাছে হচ্ছে,ভারতীয় আর্মিকে চ্যালেঞ্জ না করা। কারণ চ্যালেঞ্জ জানানোটা তাদের আর্মর ডিভিশনের স্বাস্থের পক্ষে সুবিধা জনক হবে না বলেই মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *