ডিফেন্স

১০ টি বিধ্বংসী হেলিকপ্টার অর্ডার করা হল নৌবাহিনীর জন্য

নিউজ ডেস্কঃ সমুদ্র বা আকাশ। শত্রুপক্ষের গতিবিধির উপর যে বেশি নজর রাখতে পারবে সেই যে আধুনিক যুদ্ধে এগিয়ে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।

এতদিন বিমানের ওপর এ্যওয়াক্স রেডার দেখেছেন। এটা হল হেলি এ্যওয়েক (AEW&C) যা ভারতীয় নৌবাহিনী ব্যবহার করে। এই হেলি এ্যওয়াক্সের নাম Ka-31 ভারতীয় নৌবাহিনীতে এরকম ৯টি রাশিয়ান AEW&C এ্যক্টিভ আছে। আরও ১০টি অর্ডার করা হয়েছে।

এটা ভারতবর্ষের প্রতিবেশিদের তুলনায় বিরাট সুবিধা প্রদান করে। কারন ভারতের প্রতিটি ফ্রন্টলাইন ওয়ারশিপেই প্রায় এগুলো কম্ব্যট রোলে মোতায়েন করা থাকে। যেখানে সি-স্কিমিং মিসাইল গুলি ভারতের প্রতিবেশী দেশ গুলির জাহাজকে সমস্যায় ফেলে সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনী এই ধরনের হুমকি অনেক আগে এই হেলিকপ্টারের সাহায্যে শনাক্ত করতে পারে। কারন এই হেলি অনেক ওপর থেকে অনেক দুরের হুমকিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম। যা সরাসরি ডাটা লিংকের সাথে জাহাজের সাথে যুক্ত করা। ফলে এর সমস্যার কোনো প্রভাব ভারতীয় নৌবাহিনীতে পরে না। যেখানে একটি সি স্কিমিং মিসাইলকে শিপ এর রেডার ১৫কিমি দুরে দেখতে পায় দিগন্তের শেষ প্রান্তে এর কারনে শনাক্ত করে সেখানে এই এ্যওয়াক্সের ফলে ১০০+কিমিতেই ভারতীয় নৌবাহিনী হুমকিকে শনাক্ত করতে পারে।

এই Ka-31একটি E-801M রেডার বহন করে। যা যুদ্ধজাহাজের সাইজ টার্গেটকে ২০০কিমি দুরে ট্র্যক করতে সক্ষম। এক সাথে ৪০টি টার্গেটকে ট্র্যক করতে সক্ষম।

যেহুতু এটা একটি হেলিকপ্টার তাই শিপের রেডার রেঞ্জের শেষ সীমায় থেকে আরও ২০০কিমির সার্চ রেঞ্জ বৃদ্ধি করতে পারে নৌবাহিনী। মানে নৌবাহিনীর শিপের রেডার রেঞ্জ ৩০০কিমি হলে হেলিকপটার ২৯০কিমি দুরে অবস্থিত হয়ে নিজের রেডার অন করে অতিরিক্ত ২০০কিমি রেঞ্জ বৃদ্ধি করে দেবে। অর্থাৎ ২৯০+২০০=৪৯০কিমি রেঞ্জ হয়ে যাবে। এটা একটা বিরাট সুবিধা যা ডাটা লিংকের মাধ্যমে স্থাপন সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *