আমেরিকার দুটি সুপার ক্যরিয়ার দঃ চীন সাগরে। চীন বিরোধী শক্তি গড়ে তুলতে জাপান এবং অস্ট্রেলিয়াকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়কত্ত্ব করতে চলেছে ভারত
নিউজ ডেস্কঃ চীনের আগ্রাসন ভুমিকা যে চীনের কাল ডেকে আনছে তা বলাই বাহুল্য। লাদাখ থেকে শুরু করে মালাক্কা এবং দক্ষিণ চীন সাগরে সাঁড়াশি আক্রমনে রীতিমতো দিশেহারা চীন। তাদের বিরুদ্ধে লড়তে এক বিরাট বাহিনী গঠন হচ্ছে। শুধু তাই নয় তাদের রীতিনীতি বিশেষ করে সঠিক কথা না বলাতে বেশ অসুবিধার মুখে পড়তে হয় তাদের প্রায়শয়।
ডোকলামের পর এবার লাদাখে শোচনীয় পরাজয় হল চীনের। ভারতের সাথে ক্রমবর্ধমান বিবাদে এবং সাম্প্রতিক সংঘর্ষে দুই দেশের হতাহত পরিমাণ অনেক, প্রথমাবস্থায় ভারতের যে ২০ জন সৈন্য মারা গেছে তা বলা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু চীনের তরফে সেভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নিরস্ত্র ভারতীয় সেনার উপর অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার পরেও চীনের প্রায় 100 জন সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে ঝড় উঠেছে চীনের অভ্যন্তরেই। ভারত দাবি করেছিল চীনের আহত ও নিহতের সংখ্যা 43 র আশেপাশে। কিন্তু এখন চীনের এক প্রাক্তন সেনা জানিয়েছেন যে চীনের মোট হতাহতের সংখ্যা একশোর বেশি।
লাদাখে অশান্তির পর পর ভুটানের যে অংশ নিজেদের দাবি করেছিল তা থেকে সরে এসেছে জিনপিং এর দেশ। চীনের এটা কল্পনাতেও ছিল না যে ভারত তার বিরুদ্ধে এতটা শক্ত অবস্থান নিতে পারে। সমস্ত রকম পেশিশক্তির পরও এখন বাধ্য হয়ে সরে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিলনা চীনের কাছে। এদিকে আবার আমেরিকা দুটি সুপার ক্যরিয়ার ইতিমধ্যে দঃ চীন সাগরে পাঠিয়েছে।
চীনের কাছে অপরের জমি হাতানো একটা সোজা ব্যাপার মনে করে। বিরাটভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অর্থাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রায় ২ লক্ষ সেনা হারিয়েছিল চীন। আর সেই রাশিয়ার একটা বড় অংশ কিছুদিন আগে নিজেদের বলে দাবি করে চীনে। চীনের আগ্রাসী মনভাব এতটাই খারাপ যে কোরিয়ার যুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষক বাহিনীর ওপরও আক্রমণ করতে পিছুপা হয়নি তারা। ইতিমধ্যে চীন বিরোধী আওয়াজ উঠেছে বহু দেশে। মায়ানমার জানিয়েছে চীন তাদের দেশে সন্ত্রাসবাদীদের অস্ত্র দিচ্ছে। এদিকে নেপালেও থাবা চীনের সেনার। চীনকে শিক্ষা দিতে পুরো পৃথিবীতে এখন চীন বিরোধী শক্তি তৈরি হচ্ছে। আর তার নেতৃত্ব দিতে পারে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।