ক্লান্তি ও দূর্বলতা সৃষ্টি করে। নিম পাতা ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক গুলি জানা আছে?
ছোটবেলা থেকে আমরা নিমের বিভিন্ন উপকারিতার কথা শুনে এসেছি। ছোটবেলায় না চাওয়া সত্ত্বেও জোর করে নিম পাতা খেতে হয় নি এমন মানুষ কমই আছেন। নিম এমনই একটি গাছ যার ডাল, পাতা,রস সহ প্রত্যেকটি উপাদান ই কোন না কোন কাজে লাগে ।শরীরে যে কোন রকম ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ও নিমের জুড়ি মেলা ভার ।সেই প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করে আসা হয় নিম । কিন্তু অপরিসীম উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও নিমের ও রয়েছে বেশকিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া। যেগুলো সম্পর্কে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই ওয়াকিবহাল নই। আসুন জেনে নিই নিমের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় জটিলতা:
নিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা আছে ঠিকই তবে গর্ভাবস্থায় নিম এড়িয়ে চলাই ভালো ।শুধু গর্ভাবস্থায় নয় ,আপনি যদি সন্তান নেওয়ার কথাও ভেবে থাকেন তাহলে নিম খাওয়া বন্ধ রাখাই ভালো।কারণ,নিম শুধু যে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে তাই নয় এটি শরীরে প্রবেশ করা শুক্রাণুকেও প্রত্যাখ্যান করে কখনো আবার গর্ভবতী ভ্রুন কেউ নষ্ট করে দেয়।
রে-সিন্ড্রোম সৃষ্টি করে:
ছোটদের নিমপাতা প্রায়ই খাওয়ানো হয় বিভিন্ন অসুখের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে। তবে একদম ছোটো শিশুদের নিম না খাওয়ানোই উচিত । কারণ নিমের মধ্যে থাকে এমন কিছু পদার্থ যা শিশুদের মধ্যে রে-সিন্ড্রোমের সৃষ্টি করতে পারে ।
ক্লান্তি ও দূর্বলতা সৃষ্টি করে:
আয়ুর্বেদিক মতে নিমপাতা প্রায় 130 টি রোগের উপশম করতে পারে। তবে,আপনার যদি সহজেই ক্লান্তি আসে বা দুর্বলতার শিকার হন আপনি তাহলে বিশেষজ্ঞদের মতে নিম বা নিমের তৈরি কোন জিনিস আপনার না খাওয়াই উচিত ।কারণ গবেষণায় দেখা গেছে নিম সেবন শরীরে ক্লান্তি ভাব অনেকটা বাড়িয়ে দেয় ।