কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ছোলার ডালের অসাধারন ৬ টি কার্যকারিতা
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ছোলার ডালে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকায় সামান্য খেলেই পেট ভরে যায় এবং এই ডাল আবার সিস্টেম পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। ।তাই এটি অল্প খেলেই বেশ অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে যার ফলে সারাক্ষণ খিদে পায় না।এজন্যই ওজন বাড়ারও আশঙ্কা থাকে না।এছাড়াও এই ডাল যেহেতু সিস্টেম পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে তাই ব্লোটিং বা পেট ফাঁপার সমস্যাও হয় না।
হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে : ছোলার ডালে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপারটিসের সঙ্গে আরও নানা উপাদান যা হার্ট সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।এই ডাল ব্লাড ভেসেল বা ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্তচলাচল যাতে সঠিকভাবে হয় সেদিকেও নজর দেয়।এছাড়াও ছোলার ডালে রয়েছে ফোলেট এবং ম্যাগনেশিয়াম।আর এই ফোলেট ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।যার ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেকটা কম হয়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করেঃ আমরা সবাই জানি যে আমাদের শরীরে দু’ ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, একটি ভাল এবং অন্যটি খারাপ। আর এই ডাল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা আমাদের শরীরে বাড়াতে সাহায্য করে।এছাড়াও ছোলার ডালে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে বলে কোনও টক্সিন শরীরে জমা হতে দেয় না।তাই ছোলার ডাল আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে : ছোলার ডাল ডায়াবেটিস নিন্ত্রনে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কারন ছোলার ডাল যে-কোনও ধরনের কার্বোহাইড্রেট হজম করায় ধীরে-ধীরে।তাই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে প্রতিদিন যদি আধ কাপ করে ছোলা সেদ্ধ বা ভেজানো কাঁচা ছোলা খাওয়া যায় তা হলে এক সপ্তাহের মধ্যে শরীরের বাড়তি ইনসুলিনের মাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারি।
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করেঃ ছোলার ডাল আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।এছাড়াও এই ডাল হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুসেও কোনও ময়লা জমতে দেয় না।তাই নিউট্রিশনিস্টদের মতে, গর্ভবতী মহিলাদের এবং বাড়ন্ত বাচ্চাদের পক্ষে নিয়মিত ছোলার ডাল খাওয়া খুব ভালো।
প্রোটিনের ঘাটতি দূর করে : ছোলার ডালে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন থাকে।তাই এই ডাল খেলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়।
হজমে সাহায্য করেঃ ছোলার ডালে উপস্থিত ফাইবার যা শরীরে খাদ্যকে হজম করতে সহায়তা করে।তাই মসুর ডাল হজমের যেকোনো সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।এছাড়াও ছোলার ডাল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের সহায়তা করে।