লাইফস্টাইল

আপনার কী শ্বেতী আছে? আর তা কিছুতেই কমছে না?? তাহলে ব্যবহার করতে পারেন বহেড়া ফলের তেল

আমাদের আশেপাশে এমন  অনেক মানুষজন আছেন যারা শ্বেতী রোগে ভুগছেন।  অনেক ডাক্তার দেখিয়েও খুব একটা কমছে না শ্বেতী রোগ। তাহলে তাদের কাজে আসবে বহেড়ার তেল। শ্বেতী রোগ ছাড়াও আরও অন্যান্য রোগের উপকারে আসে বহেড়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক বহেড়ার  উপকারিতা- 

  • আমাশা ও ডায়রিয়া:

               প্রায় লোকেরেই এই রোগ দেখা যায় তবে বহেড়ার চুর্ণের এর সাথে জল মিশিয়ে খেলে দ্রুত উপশম হয়।

  • হৃদপিণ্ড ও যকৃত: 

              বহেড়ার ফল নিয়মিত খেলে হৃদপিণ্ড এবং যকৃতে রোগের সংক্রমণ কম হয়। হৃদপিণ্ড ও যকৃতের জন্য বহেড়া বিরাট ভূমিকা রাখে।

  • শ্বেতী রোগ: 

              মানুষের মধ্যে অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে আর তার মধ্যে শ্বেতী একটি রোগ। বহেড়ার তেল এই রোগের জন্য অনেক কার্যকারি।

                                                    যদি বহেড়ার বীজের শাঁসের তেল বের করে শ্বেতী রোগীর গায়ে  লাগানো যায় তাহলে গায়ের রং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠে।

  • চুলের যত্নে বহেরা: 

              আজকাল  দেখা যায় যে বেশিরভাগ মানুষের অল্প বয়সে চুল পড়ে যায় এবং এই বিষয় নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত থাকেন। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান বহেড়া ফল করতে পারে। বহেড়ার ফলের ভিতরের বীজ বাদ দিয়ে শুধু দশ গ্রাম ছাল নিয়ে  সেটিকে এক কাপ জলে দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে । তারপর সেটা বেটে রস বের করে, সেই রস জলে গুলে নিতে হবে। এরপর সেই জল ছেঁকে নিতে হবে। এবার ছেকে নেওয়া জল দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। লাগাতার কিছুদিন চুলে এইভাবে ম্যাসাজ করলে চুল ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। 

  • কৃমি রোগ: 

              যাদের কৃমি রোগ আছে তাদের জন্য বহেড়ার বীজের ছাল এর উপকারিতা কাজে লাগবে নিশ্চই। তবে জেনে নিন এই বীজের কার্যকারিতা। কারো যদি কৃমি রোগ হয়, তাহলে বহেড়া ফলের বীজ বাদ দিয়ে শাঁসের গুঁড়ো এবং ডালিমের পাতার রসের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে কৃমি দূর হবে।

  • সর্দি: 

             কম বেশি প্রায় সব মানুষের সর্দি হয়ে থাকে। যার সর্দি হয়েছে, সে যদি  আধা চা-চামচ বহেড়া চূর্ণ এবং সামান্য গরম ঘি মিশিয়ে, পুনোরায় গরম করে মধু দিয়ে খায় তাহলে দ্রুত সর্দির হাত থেকে নিরাময় পাবে।

  • আয়ু বৃদ্ধি বা দীর্ঘায়ু: 

              বহেড়ার আরো একটি বিশেষ গুন হলো-  যদি প্রতিদিন বহেড়া ভেজানো জল এক কাপ করে নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়।

  • ফোলা কমানোয়:

              কারো যদি আঘাত পেয়ে ফুলে যায়, তাহলে  বহেড়ার গাছের ছাল বেটে একটু গরম করে সেই ফোলা স্থানে প্রলেপ লাগালে ফোলা কমে যায়।

  • অনিদ্রা রোগে : 

             বর্তমান সময় প্রায় লোক বিশেষ করে বয়স্করা, অনিদ্রা জনিত রোগে ভোগেন। অনিদ্রার কারণে রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটে যায়। এখন থেকে ভালো ঘুমের জন্য বহেড়া খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

এছাড়াও বহেড়া শ্বাসকষ্ট ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *