ডিফেন্স

চীনকে জবাব দিতে আন্দামান এবং নিকবোরে নতুন চমক ভারতীয় সেনার

নিউজ ডেস্কঃ ভারত-চীন উত্তেজনার পর যে একাধিক সমীকরণ বদলাবে তা বলাই বাহুল্য।  আর ঠিক সেইমত একধিক বিষয়ে অগ্রসর হচ্ছে ভারত। বিশেষ করে জলপথ বা জলসীমার ক্ষেত্রে। আর ঠিক সেটাই হচ্ছে।

ভারত মহাসাগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা থাকতেও ভারত কেন স্বাধীনতার এত দিন পরেও তার যথাযথ সদ্ব্যবহার করছেনা? অর্থাৎ আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কথাই বলা হচ্ছে।

প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্দামান-নিকোবর দ্বীপ পুঞ্জের ‘গ্রেট নিকোবর’ দ্বীপে ভারত ডেডিকেটেড কনটেইনার ট্রান্সশীপমেন্ট পোর্ট নির্মাণ করার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। এতো বড় প্রজেক্টে ভারত ₹১০,০০০ কোটি টাকা খরচ করবে বলে জানানো হয়েছে। প্রধানত গ্রেট নিকোবর দ্বীপ পূর্ব-পশ্চিম আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বানিজ্য পথের একেবারে ওপরে রয়েছে, আর এই অঞ্চলে ডেডিকেটেড ট্রান্সশীপমেন্ট পোর্ট রয়েছে মালাক্কা প্রনালীতে সিঙ্গাপুরের ও মালয়েশিয়ার। বিশেষজ্ঞদের মতে গ্রেট নিকোবর ঐ স্থান গুলির ভালো বিকল্প হতে পারে বৃহৎ সামুদ্রিক বানিজ্যিক জাহাজ গুলির জন্য।

এই অঞ্চলে সমুদ্রের সাধারণ গভিরতা রয়েছে। আর সেই কারনে এখানে একটি আদর্শ পোর্ট তৈরী করা সম্ভব। কারন আন্তর্জাতিক রূট এই স্থান দিয়েই যায়। বড় বড় বানিজ্যিক জাহাজ গুলি এখানে থামতে পারবে এবং অন্যান্য আঞ্চলিক জাহাজ গুলি এখান থেকে প্রয়োজনীয় মালপত্র বোঝাই করে আশে পাশের দেশ গুলিতে যেতে পারবে। সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি, গ্রেট নিকোবর একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক জংশন স্টেশন হতে চলেছে। সিঙ্গাপুরের ও মালয়েশিয়ার পোর্ট গুলির লোড সর্বদা বেশি থাকার কারনে ভারতের নতুন এই পোর্ট বানিজ্যিক জাহাজ গুলির জন্য ভালো বিকপ্ল হবে বলে মত একাধিক বিশেষজ্ঞদের।

প্রশ্ন একটাই এত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতার প্রায় ৭৩ বছর সময় লাগল গুরুত্বপূর্ণ এই পোর্ট নির্মাণ করতে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *