সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের প্রতিষ্ঠিত মা রক্ষাকালী আফগানিস্তানের যে গ্রামে পূজিত হচ্ছেন। জানুন বিস্তারিত
নিউজ ডেস্ক – মূলত হিন্দু ধর্মে দেখা যায় দেবদেবীর পুজোর কর্মসূচি। গোটা পৃথিবীতে খুব কম মুসলিম আছে যারা হিন্দু ধর্মকে মান্যতা দেন ও তার দেবদেবীকে নিষ্ঠাবান ভাবে পুজো করেন। তবে তার পরেও মুসলিম দেশ আফগানিস্তানের কাবুলে বহু প্রাচীন হিন্দু সাম্রাজ্য বিস্তার কালীন সময়ে রাজ রাজাদের নির্মিত মা রক্ষা কালী পুজিত হন আজও।
পুরানো নথিপত্র ঘাটলে পাওয়া যাবে ৩৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে তিনি তার রাজত্ব বিস্তারকালে তার মানচিত্রে সীমানার অভ্যন্তরে একটি জায়গায় রক্ষাকালী মন্দির নির্মিত করে প্রতিনিয়ত তাৎপর্যপূর্ণ পুজো করতেন তিনি। সম্রাট মনে করতেন রক্ষা কালী দেবীর উপাসনা করলে সকল সমস্যা দূরীকরণ করা সম্ভব। তবে পরবর্তী সময়ে সমাজের রাজত্ব শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে কালের পরিবর্তনে যখন দেশভাগের সময় আসে তখন মা রক্ষা কালী মন্দির সহ জায়গাটি পরে আফগানিস্তানের কাবুল অঞ্চলে।
মন্দির নির্মাণ করার সময় যদিও সম্রাট জানতেন না যে এই অংশটি পড়বে এক মুসলিম দেশের অভ্যন্তরে। যাইহোক আফগানিস্তানের কাবুলে মন্দিরটি বর্তমানেও অক্ষত অবস্থায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে বহু প্রতিবেশী দেশের যুদ্ধ চলাকালীন বহু গুলি-বোমা পড়েছে। তাতে আফগানিস্তানের একাধিক দর্শনীয় স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মন্দিরটি অক্ষত রয়েছে। তবে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা থাকলেও দেশটি মুসলমান সম্প্রদায়ের হওয়ায় ও হিন্দু বাসিরা রয়েছেন খুব কম সংখ্যক। তাই বর্তমানে সংস্করনের অভাবে ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত দিকে এগোচ্ছে সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের প্রতিষ্ঠা করা রক্ষাকালী মন্দির।