ডিফেন্স

ব্যাটেল অফ স্তালিনগ্রাদকে। রাশিয়ার দেখানো পথেই যুদ্ধের ছক কষছে ইউক্রেন

নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বিশেষ করে ইউরোপে এরকম ভয়াবহ রক্তক্ষরণ বহুবছর পর। তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় এমন কিছু যুদ্ধ হয়েছিল যে আজও মানুষের বুক কেঁপে ওঠে। ঠিক তেমনই এক যুদ্ধ হল ব্যাটেল অফ স্তালিনগ্রাদ।

ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ যুদ্ধ বলা হয় ব্যাটেল অফ স্তালিনগ্রাদকে। এই যুদ্ধই ইউরোপে হিটলারের নাজি সেনার পতনের পথ প্রসস্থ করেছিল। যুদ্ধের এক মারাত্মক স্ট্রাটেজি ছিল যা গোটা বিশ্বকে অবাক করেছিল। সেই সময় নাজি সেনার সামনে টিকতে পারছে না সোভিয়েতের রেড আর্মি। নাজি সেনার বোম্বার বিমান, ভারী আর্টিলারির সামনে অসহয় ছিল সোভিয়ে সেনা। তখন সোভিয়েত রাশিয়ার জেনারেল চুইকোভ একটা মাস্টার প্ল্যান বনাল। প্ল্যানের নাম “Hug the Enemy” মানে শত্রুকে কোলাকুলি কর যার অর্থ শত্রুর পয়েন্ট ডিস্টেন্সে গিয়ে যুদ্ধ কর। সোভিয়েত সেনা করল কী নাজি সেনাকে স্তালিনগ্রাদ পর্যন্ত ডেকে এনে শহরের মধ্যে ফাঁসিয়ে দিয়ে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করল। এতে হল কী নাজি বোম্বার, আর্টিলারি পুরো চুপ করে রইল। কারন ক্লোজ রেঞ্জ ফাইটে বোম্ব ফেললে নিজেদের সেনারই ক্ষতি হবে।

ইউক্রেন সেই একই স্ট্রাটেজি নিয়েছে। ইউক্রেন সেনা কিয়েভে পৌঁছানোর সমস্ত ব্রিজ কে উড়িয়ে দিয়েছে যার জন্য রাশিয়ার বিশাল ট্যাঙ্ক, আর্মড ভ্যেইকল এর বড় অংশ কিয়েভে প্রবেশ করতে পারছে না, আটকে গেছে। বাকী রাশিয়ান সেনাকে কিয়েভ পর্যন্ত অ্যালাও করল ইউক্রেন। শহরের মধ্যে গেরিলা যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ফলে রাশিয়ান বোম্বার, আর্টিলারি এমনকী রশিয়া এই মহূর্তে কিয়েভে মিসাইল ও চলাতে পারছে না কারন নিজেদর সেনা আছে। সেই নাজি সেনার মত এক ভুল করল রাশিয়া। ইউক্রেন আবার পেছন থেকে রাশিয়ান সেনার সাপ্লাই লাইন কেটে দিয়েছে। ফলে বহু রাশিয়ান ভ্যেইকল তেলের অভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, খাদ্যের জন্য রাশিয়ান সেনা ঘুরে খুঁজে বেড়াচ্ছে। রাশিয়ান সেনা আটকে গেছে, এয়ার সাপোর্ট পাচ্ছে না। এত বিশাল বিমান বহন, আর্টিলারি, ট্যাঙ্ক বহর কিয়েভে কীছু করতে পারছে না কারন ক্লোজ রেঞ্জ যুদ্ধ চলছে। আর পেছন থেকে ক্রমাগত পোল্যান্ড হয়ে সাপ্লাই পেয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের লক্ষ রাশিয়াকে যতদিন সম্ভব যুদ্ধে জড়িয়ে রাখা। যতদিন যাবে রাশিয়া দেউলিয়া হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *