ডিফেন্স

তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়তে গ্রীসকে বিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্র দেবে আমেরিকা এবং ফ্রান্স

নিউজ ডেস্কঃ তুর্কির বিমানবাহিনীর পাইলট দের ক্রমাগত চাকরি ছাড়ার পর পাকিস্তান এর উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে, আর সেই কারনে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে তুরস্ক। তবে জানেন কি গ্রিস কিভাবে নিজেকে তৈরী করেছে? এরদোগান খলিফার স্বপ্ন চুরমার করতে ও তুরস্কের অবস্থা কাহিল করে দিতে নিজেকে তৈরী করেছে গ্রীস।

গ্রিসের বিমানবাহিনী তে এফ ১৬,মিরাজ ২০০০ তো আছেই ফ্রান্স তাদের ১৬ টি রাফায়েল দিচ্ছে এছাড়াও আমেরিকা থেকে তারা ২৪ টি এফ ৩৫ পেতে চলেছে।

তুরস্ক ও গ্রিস মেডিটেরিয়ান সাগরের কিনারা তে অবস্তিত। এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তবে গ্রিস কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে এফ ৩৫, ২৪ টি এবং ফ্রান্সের থেকে ১৬ টি রাফালে যুদ্ধবিমান ক্রয় করছে। ভবিষ্যতে কোন বিমান যুদ্ধে পাকিস্তান পাইলট দ্বারা পরিচালিত তুরস্কের বিমান বাহিনী তা বলাই বাহুল্য।

রাশিয়ার কাছ থেকে এস ৪০০ ট্রায়ামফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সংগ্রহ করার ফলে তুর্কি ইতিমধ্যেই আমেরিকার CATSA আইন এর বলে এফ ৩৫ প্রোগ্রাম থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার অগ্রিম পেমেন্ট দেওয়ার পরেও। মার্কিন পঞ্চম প্রজন্মের এফ ৩৫ ও ২ ফরাসী ৪.৫ জেনারেশন রাফায়েল বিমানগুলো কম্বো গ্রিস কে ওই অঞ্চলে একধি পত্য দেবে যেকোন বায়ু যুদ্ধে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের।

বছরের শুরুতে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী Kirakos Mistotacis ওয়াশিংটন সফরের সময় গ্রিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী Nicolas Pangiotopolus বলেছেন ৩ বিলিয়ন ডলার দিয়ে গ্রিক ২৪ টি এফ ৩৫ ক্রয় করবে আমেরিকার থেকে। তবে ওই প্রসেস চালু ও বিমান পেতে পেতে ২০২৪ হয়ে যাবে। যেটা ভবিষ্যতে তুরস্কের আকাশে গ্রিক বিমানবাহিনী কে এয়ার সুপিরিওরিটি অর্জনে সাহায্য করবে। এফ ৩৫, পঞ্চম প্রজন্মের বিমান স্টেলথ, গতি ও নেটওয়ার্ক অপারেশন বিভিন্ন সেনসর মিলিত হয়ে এক কিলিং মেশিনে পরিণত হয়েছে।

তুর্কির এক সংবাদ পত্রের মতে হেলিনিক বা গ্রিস বিমান বাহিনী যদি এফ ৩৫ পায় তাহলে ক্ষমতার দিক থেকে গ্রীস এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি ইজিয়ান সাগর গ্রিক লেক পরিণত হবে। ইজিয়ান সাগরে এক বিশাল তেল গ্যাস ভাণ্ডার। সম্প্রতি এই গ্যাসের ভাণ্ডার আবিস্কার হওয়ায় পর পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে।

রাশিয়ার এস ৪০০ ক্রয় করার জন্য তুরস্ক আমেরিকার এফ ৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার প্রোগ্রাম থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে, সঙ্গে মরার উপর খাঁড়ার ঘা। অর্থাৎ  ফ্রান্স তাদের বায়ু সেনার পুরনো হয়ে যাওয়া একটি রাফায়েল 4.5 জেনারেশন স্কোয়াড্রন গ্রিক কে অফার করেছে।

ডাসল্ট রাফায়েল এদিকে টুইন ইন্জিন canrad ডেল্টা উইং বিমান ডিপ পেনিট্রেশন স্ট্রাইক আন্টি শিপ মিশন, নিউক্লিয়ার ডিটারেন্স রেকন মিশন করতে পারে। যদিও এটা স্টেলথ বিমান না তাও এর বিশেষ ডিজাইন এর RCS ইনফ্রারেড সিগ্নেচার থেকে বাঁচতে একে সহায়তা করে। লিবিয়া যুদ্ধে রাফায়েল একটি তুর্কির বেস ধূলিস্যাত করে দিয়েছে অত্যাধুনিক মার্কিন এয়ার ডিফেন্স থাকা সত্তেও।

গ্রীস এবং তুরস্ক দুই দেশেরই সেনাবাহিনীতে প্রচুর এফ ১৬ রয়েছে। এথেন্স ১৫০ আর তুরস্কের ২৪৫। গ্রীস ১.৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে সম্প্রতি তাদের এফ ১৬ ফ্লিট কে আপগ্রেড করার কাজ শুরু করেছে, যা ২০২৭ এ শেষ হবে। এই চুক্তির বলে গ্রীস তাদের এফ ১৬ যুদ্ধবিমান গুলিকে উন্নত ভাইপার ভার্শনে উন্নীত হবে। যা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক। ভবিষ্যতে তুরস্কের অবস্থা যে কতোটা কঠিন হতে চলেছে সময়ই বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *