আপেল, দারুচিনির মতো যে ৫ টি খাওয়ার আপনার রক্তনালীর ব্লক রোধ করতে সাহায্য করে
নিউজ ডেস্কঃ হার্টের নানা সমস্যা এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার একটি কারন প্রধান কারন হল রক্তনালী ব্লক।এই রক্তনালী ব্লক হওয়ার কারণগুলির মধ্যে একটি হল আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।আর এর জন্যই আমাদের হার্টের রোগের মতো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সবার আগে নিজের খাদ্যাভাসের উপর নজর দিন।এমন কিছু খাবার খান যা আপনাদের শরীরে পক্ষে উপকারী।তাহলে জেনে নিন কিছু খাবার সম্পর্কে যা আপনাদের রক্তনালীর ব্লক রোধ করতে সাহায্য করবে।
আপেলঃ আমাদের শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে একটি ভালো কোলেস্টেরল এবং অপরটি খারাপ কোলেস্টেরল। আপেল এই খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে কারন আপেলে থাকে পেকটিন নামক একটি উপাদান যা এই কাজটি করতে কার্যকরী। এছাড়াও খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি রক্তনালীতে প্লাক জমার প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে সাহায্য করে।একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খেলে রক্তনালীর শক্ত হওয়া এবং ব্লক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমে যায়।
দারুচিনিঃ দারুচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেমের সার্বিক উন্নতিতে কাজ করতে সাহায্য করে থাকে। একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে রোজ মাত্র ১ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খেলে দেহের কোলেস্টেরল কমানোর পাশপাশি রক্তনালীতে প্লাক জমে ব্লক হওয়ার রোধ করে থাকে।
কমলার রসঃ কমলার রসের থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক একটি উপাদান যা রক্তনালীর সার্বিক উন্নতিতে সাহায্য করে।এর ফলে রক্তনালী ড্যামেজ হওয়ার থেকে রোধ করতে পারে।তাই একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে রোজ ২ কাপ কমলার রস পান করলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
ব্রুকলিঃ এই ব্রকলিতে উপস্থিত ভিটামিন কে আমাদের দেহের ক্যালসিয়ামকে হাড়ের উন্নতিতে কাজে লাগায় এছাড়াও এই ক্যালসিয়ামকে রক্তনালী নষ্ট করার প্রতিরোধ করে।এছাড়াও ব্রকলিতে থাকে ফাইবার যা দেহের কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রনে রাখে।
তিসী বীজঃ তিসীবীজে উপস্থিত আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড যা আমাদের দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও রক্তনালীর প্রদাহকে দূর করতেএবং রক্তনালীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।তৈলাক্ত মাছঃ সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছে থাকে মেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের দেহের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।যার ফলে আমাদের হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে৷