ডিফেন্স

তালিবানের কিছু জিনিস আমেরিকার অর্থ আর প্রযুক্তির দম্ভকে চূর্ণ করে দিয়েছে। কি কি সেই বিষয় গুলি জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষ থেকে শুরু করে একাধিক আন্তর্জাতিক স্তরের নেতা বা বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতবর্ষ কেন আফগানিস্থানের হয়ে সেই সময় তালিবানদের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণ করেনি? এরকম একাধিক মন্তব্য শোনা গেছে। কিন্তু কখনও কি তারা ভেবে দেখেছে যে কিভাবে ভারতবর্ষ কিভাবে সাহায্য করত আফগানিস্থান কে? বা কোন পথে আক্রমণ করত? না কিভাবে আবার ভারতের সেনাবাহিনী বা বিমানবাহিনী ফিরে আসত? আসলে কোনোকিছু না বুঝেই একাধিক মন্তব্য করে বসেন অনেকে।

ভাবুন ভারতবর্ষ জাগুয়ারের মতো যুদ্ধবিমানে ৫০০ কেজির আনগাইডেড বম্ব পাঠাল আফগানিস্তানে। অর্থাৎ মোট পেলোড ৪ টন।

কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে আফগানিস্থানের অবস্থান। অর্থাৎ তালিবানদের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষ জাগুয়ারের মতো যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতেই পারত সেরা স্ট্রাইকার হিসাবে। কিন্তু আফগানিস্থান ল্যান্ড লকড দেশ হওয়ার কারনে তা করা সম্ভব নয়।

ভারতবর্ষ চাইলেও কিছু করতে পারবেনা তার সবথেকে বড় আর একটি কারন আফগানিস্থানের আশেপাশে কোন সমুদ্র নেই। অর্থাৎ সেভাবে কিছুই করতে পারবেনা ভারতবর্ষ। সেখানে আমেরিকাকেও মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে হয়েছে। 

আফগানিস্থানের এই এলাকার যোদ্ধারা ভীষণভাবে ভয়ানক হয়ে থাকে। আর আমেরিকার হেরে যাওয়ার একটি বড় কারন হল সেটাই তালিবানের কিছু জিনিস যে প্রাধান্য দিয়েছে তা পুরো আমেরিকার অর্থ আর প্রযুক্তির দম্ভকে চূর্ণ করে দিয়েছে। তবে আমেরিকা আফগানিস্থান ছেড়ে দেওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারন রয়েছে।

প্রথমত কারন আমেরিকার পক্ষে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি আফগানিস্থানের ম্যাপ ঠিক যতটা তালিবানরা চিনত, ঠিক একইভাবে ভিয়েতনাম নিজেদের জঙ্গলকে এতোটাই চিনত। কোন স্থানে গুহা আছে বা কোথায় রাস্তা বা কোথায় কাঁচা রাস্তা। এই এডভান্টেজ থাকার ফলে ট্যাক্টিক্যাল স্তরে ভীষণভাবে সুবিধা পেয়েছে তারা। 

দ্বিতীয়ত তালিবানদের কোনোদিন অস্ত্রের অভাব হয়নি রাশিয়া, চীন এবং পাকিস্তানের জন্য। কারন তারা বরাবর তালিবানদের অস্ত্র সরবারহ করেছে। 

তৃতীয়ত তালিবান বা পাস্তুন শ্রেনির মানুষদের আমেরিকা কোনোদিন শেষ করে দিতে পারেনি। তাদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে এই শ্রেণীর বিরাট এক অংশ বেঁচে ছিল।

চতুর্থত হল পাকিস্তানের আই এস আই। অর্থাৎ পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের এক বিরাট অংশ এর পেছনে রয়েছে। তারা ইসলামের কথা বলে আফগানিস্থানের প্রচুর যুবকদের তালিবানের হয়ে যুদ্ধ লড়তে সাহায্য করেছে। আর এই কারনে তালিবানদের কোনোদিন ম্যান পাওয়ারের অসুবিধা হয়নি। আর সেই কারনে আমেরিকার বিধ্বংসী বি ২ বম্বারের মতো যুদ্ধবিমানের লোড খালি হয়ে গেলেও কিন্তু তালিবান শেষ হয়ে যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *