ডিফেন্স

৬৫০ ফিট জলের নীচ থেকে শত্রুদের আক্রমণ করতে সক্ষম ছিল। পৃথিবীর প্রথম ডুবোজাহাজ কোন দেশের হাতে ছিল? কোথায় এখনও রয়েছে সাবমেরিনটি?

নিউজ ডেস্কঃ বর্তমান দিনে প্রায় প্রত্যেকটি  দেশের  প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য রয়েছে প্রচুর সাবমেরিন।আর এই সাবমেরিনগুলি অনেক উন্নত প্রযুক্তি সম্পূর্ণ।বর্তমান দিনের সাবমেরিনের  উন্নতমানের টেকনোলোজি  নিয়ে  প্রায় সবারই কম বেশি  জানা আছে কিন্তু এই সাবমেরিনগুলি মধ্যে  সেটি সবচেয়ে পুরনো অর্থাৎ বিশ্বের  সবচেয়ে পুরনো সাবমেরিনের  সম্পর্কের কি জানা আছে  যে এটি কতটা উন্নত ছিল? জেনে নিন এই সাবমেরিনটি সম্পর্কে।

HMS OCELOT। সাবমেরিনটি ছিল ব্রিটিশদের তৈরি  oberon class সাবমেরিন।আর এই জাতীয় সাবমেরিনগুলির মধ্যে ২৭ টি সাবমেরিন ৪০ বছর এক টানা সার্ভিস দিয়েছে এবং এই জাতীয় সাবমেরিনগুলি ৬৫০ ফিট জলের নীচ থেকে শত্রুদের আক্রমণ করতে সক্ষম।oberon class জাতীয় সাবমেরিনগুলি রয়েল নেভি, রয়েল অস্ট্রেলিয়ান নেভি, রয়েল কানাডিয়ান নেভি, ব্রাজিলিয়ান নেভি এবং চিলিয়ান নেভি দের কাছে সার্ভিসে ছিল।আর এই oberon class জাতীয় সাবমেরিনের মধ্যে একটি হল  HMS OCELOT  সাবমেরিন যেটি সার্ভিসে এসেছিল ৫মে ১৯৬২ সালে। এই সাবমেরিনটি জলের গভীরে  ২০৩০ টন নিয়ে চলতে সক্ষম  এবং জলের উপরে বা সাবমারজড অবস্থায়  ২৪১০ টন ওজন নিয়ে চলতে সক্ষম। ২৯৫.২  ফিট দৈর্ঘ্যের এই সাবমেরিনটির  জলের গভীরের গতিবেগ ১২ knots অর্থাৎ ১৪ মাইল প্রতি ঘণ্টায় এবং জলের  উপরের  গতিবেগ ১৭ knots অর্থাৎ ২০ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। এছাড়াও এই সাবমেরিনটি ৬৮ জন  ক্রু মেম্বার আর এর মধ্যে ৬ জন ছিল অফিসার আর বাকি ৬২ জন ক্রু মেম্বার যাদের এই সাবমেরিনটি পরিচালনা করতে  প্রয়োজন হত । এর মধ্যে  ২৪ torpedoes( ৮*২১ ইঞ্চি)  রয়েছে ও  Type 186 and Type 187 sonars I-band surface search রেডার ছিল।এই সাবমেরিনটি ব্রিটিশ  রয়েল নেভির জন্য বানান শেষ সাবমেরিন যেটি  রয়েল নেভিতে টানা ২৭ বছর সার্ভিস দিয়েছে। বর্তমানদিনে এই সাবমেরিনটি chatham Dockyard  এ  রাখা আছে।     

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *