ডিফেন্স

HAL এক নতুন সিউডো স্যাটেলাইট HAPS (high altitude pseudo satellite ) নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে। কি কাজ করবে এটি?

নিজস্ব সংবাদদাতা:আমেরিকান সৈন্য আফগানিস্থানের মাটি ছাড়ার তোড়জোড় শুরু করতেই তালিবান ও পাকিস্তানকে নিয়ে মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছে ভারতের। ভবিষ্যতের ব্যাটেল ফিল্ড হিসাবে ভারতকে প্রস্তুত রাখতে একের পর এক অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে সেনা। এরই মাঝে বেঙ্গালুরুর এক স্টার্ট আপ কোম্পানির সথে হাত মিলিয়ে HAL নামক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি এক নতুন সিউডো স্যাটেলাইট HAPS (high altitude pseudo satellite ) নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে।

উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের মতে খুব শীঘ্রই সরকারের কাছ থেকেও জোগাড় হয়ে যাবে সবুজ সংকেত। সূত্রের খবর প্রাথমিক কাজ শুরু হতে গেছে ইতিমধ্যেই।সরকারি অনুদান পেলে ৩-৪ বছরের মধ্যেই গোটা কাজ শেষ করে ফেলতে আত্মবিশ্বাসী HAL। জানা যাচ্ছে অত্যাধুনিক এই সিউডো স্যাটেলাইট এর ওজন হবে মাত্র ৫০০ কেজি। অত্যন্ত হালকা ওজনের, মাটি থেকে প্রায় 70 হাজার ফুট ওপরে উঠতে সক্ষম এই স্যাটেলাইট বেশ কয়েকমাস এক টানা আকাশে থাকতে সক্ষম।

এই ড্রোনটি স্ট্যাটস্ফিয়ারে 70হাজার ফুট উচুতে উড়ে ড্রোন প্লাটফর্ম ও উপগ্রহগুলির মধ্যে মেল বন্ধন ঘটানোর কাজ করবে। শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতীয় সেনাকে সাহায্য করাই হবে এই স্যাটেলাইট এর প্রধান কাজ। ভবিষ্যতে কোনো কমব্যাট মিশনে HCL এর  কমব্যাট টিমিং সিস্টেমের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে এই স্যাটেলাইটটি মাটিতে থাকা সেনাকে কোনো মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় লাইভ ফটো ,ভিডিও ফিড পাঠাবে।

HAL জানিয়েছে তাদের এই প্রজেক্ট সফল হলে শত্রুকে আক্রমণ করতে আর কোনো কনভেনশনাল ফাইটার এয়ারক্রাফটকে সীমান্ত অতিক্রম করতে হবে না। HAPS এর নজরদারিতে থাকবে মনুষ্য রহিত ড্রোন ও প্লাটফর্ম টিমিং। অর্থাৎ, ফাইটার জেটের সঙ্গে তৈরি করা যাবে এমন নেটওয়ার্ক যাতে তারা অনায়াসে সীমান্ত পেরিয়ে আঘাত হানতে পারে শত্রু পক্ষের ওপর। 

আজ থেকে বছর দুয়েক আগেই পাবলিক সেক্টর কোম্পানী HAL অত্যাধুনিক হাইব্রিড ওয়ারফায়ার বাজারে আনার জন্য তাদের এই প্রজেক্ট CATS শুরু করেছে। সূত্রের খবর কোনো রকম গ্রাউন্ড কন্ট্রোল ছাড়াই যেকোনো অভিযান সফল করতে CATS এর ড্রোন গুলিতে যুক্ত করা হবে AI আর্টিফিশিয়াল ইন্টেল। তবে, পাইলট বিহীন হওয়ায় ড্রোনগুলো আকারে হবে বেশ খানিকটা ছোটো। এছাড়া সেন্সর প্রণালী ছোট হওয়ায় এদের রেঞ্জও হবে খানিকটা কম। ফলত, HAPS এর মাধ্যমে রিয়াল টাইম টিমিং এর মাধ্যমে দুর থেকে কনভেনশনাল বিমানের মাধ্যমে এদের খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রায় এক বছর হতে গেলো  HAL এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেল উপর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এই HAPS এর রয়েছে আরো এক বিশেষত্ব। সোলার পাওয়ার ব্যাটারি চালিত এই স্যাটেলাইটের আয়ু আকাশে প্রায় ৩ মাস। তবে তারপর কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে স্যাটেলাইটকে নিচে নামিয়ে, পুরনো ব্যাটারি পাল্টে পুনরায় মেরামত করে আকাশে ফেরত পাঠানো সম্ভব। যা অন্যান্য সাধারণ স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে একেবারেই অসম্ভব।চমকের শেষ এখানেই নয়। নতুন এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করে যে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের উপর একে ইচ্ছা মত স্থাপন করা সম্ভব। ফলত চাইলেই ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলের ফিড ২৪x৭ থাকবে নখদর্পণে। সুতরাং ভবিষ্যতে কোনও যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে ক্রমাগত কোনও রকম বাধা ছাড়াই শত্রু পক্ষ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রথম থেকেই থাকবে ভারতীয় সেনার কাছে। এছাড়া যে কোনো ডিজাস্টার রিলিফের কাজেও এটি একই ভাবে কাজে লাগবে বলেই আধিকারিকদের আশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *