ডিফেন্স

চীন পাকিস্তানের পরমানু আক্রমন ও কিছু করতে পারবেনা। সমুদ্রের তলায় ওয়াটার টানেল তৈরি করার পথে ভারতবর্ষ

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের নৌবাহিনীর একের পর এক প্রোজেক্ট সামনে আসছে। ২০৩০ এর মধ্যে ভারতের নৌবাহিনীর জন্য বিশেষ কিছু টেকনোলোজি আসছে যা শত্রুপক্ষের ঘুম ওড়াতে সক্ষম। পাশাপাশি নৌবাহিনীকে রক্ষা করার জন্য ও একাধিক নতুন প্রোজেক্ট সামনে নিয়ে আসা হয়েছে।

ভারতের নৌবাহিনীর সবথেকে বড় প্রোজেক্ট হল পরমাণু সাবমেরিন প্রোজেক্ট। বেশ কিছু বছরের মধ্যে ভারতের হাতে পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন ১২ টি সাবমেরিন আসতে চলেছে যার মধ্যে ৬ টি পরমাণু আট্যাক সাবমেরিন এবং ৬ টি পরমাণু ব্যালেস্টিক মিসাইল সাবমেরিন। তবে সাবমেরিন গুলি তাদের মিশন শেষ করার পর কোথায় সুরক্ষিত রাখা হবে? এই নিয়েই ভারতের নৌবাহিনীর প্রোজেক্ট। জলের তলাতেই সাবমেরিন গুলিকে সাবধানে রাখতে এক বিশেষ প্রোজেক্টের উপর কাজ করা হচ্ছে যার নাম “আইএনএস ভরসা”।

ব্যায়বহুল এই প্রোজেক্টে প্রাইভেট সংস্থা হিসাবে যুক্ত রয়েছে L & T। অনেকের মতে প্রাইভেট সংস্থার সাথে কাজ করলে সিক্রেট ইনফরমেশান বাইরে চলে পারে। তবে অনেকেই জানেনা হয়ত যে এই প্রাইভেট সংস্থাটি বহু বছর ভারতের সামরিক ক্ষেত্রের একাধিক গোপন প্রোজেক্টের সাথে যুক্ত। কিছুমাস আগেই এই কোম্পানিটি আইএনএস আরিহান্তের হাল নির্মাণ করেছে। ভারতবর্ষের সরকারই সংস্থা গুলির বিরুদ্ধে বিদেশে তথ্য পাচার করে দেওয়ার মতো অপবাদ থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোন প্রাইভেট সংস্থার বিরুদ্ধে নেই।

এই প্রোজেক্টের ফেজ ১ এ ইতিমধ্যে ৩০০০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই প্রোজেক্টে মোট ২ টি নিউক্লিয়ার প্রুফ  আন্ডার গ্রাউন্ড/ওয়াটার টানেল তৈরি করা হতে চলেছে। যেখানে মোট ৬ টি সাবমেরিন থাকতে সক্ষম। বলা বাহুল্য যে এই টানেল গুলি এতোটাই শক্তিশালী হতে চলেছে যে এর উপর কয়েক কিলোটনের পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটলেও এটি সুরক্ষিত থাকবে। বিশেষ এই চেম্বার বর্তমানে উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তানের কাছে আছে বলে সুত্রের খবর। এই টানেল গুলি সম্পর্কে সেভাবে এখনও কিছু তথ্য সামনে নিয়ে আসেনি ভারতবর্ষ। এই চেম্বার ভারতের হাতে থাকলে সাবমেরিন গুলি এখানে থাকার পাশাপাশি চুপিসার বিভিন্ন গোপন মিশনে যেতে পারবে।

বিশেষ এই চেম্বারটি আটচুটামপুরামের কাছে অবস্থিত। Naval Alternate Operational Base (NAOB) হিসাবেও পরিচিত। পাশাপাশি এই বেসের সাথে থাকবে command-and-control centre এবং বেসের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য communications station যা বিজয়া নারায়ম গ্রামে অবস্থিত এগুলিকে ELF বলা হয়ে থাকে। আমেরিকার কোম্পানি তৈরি এই ১৮.২ কিলো হার্ৎজের কমিউনিকেশান লিংক ব্যবহার করা হবে যোগাযোগের জন্য। এগুলি এত কম ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে যার কারনে  বাইরের সিগনাল ইন্টেলিজেন্স আর কমিউনিকেশান ইন্টেলিজেন্সের সেন্সর গোপন তথ্য না পায়। এর যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে L & T। আর সাহায্য করেছে রাশিয়া। সত্যি ক্তহা বলতে রাশিয়া এই পুরো প্রোজেক্টে রাশিয়া প্রযুক্তিগতভাবে বিরাট সাহায্য করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *