শত্রুর শরীরে মারাত্মক ‘রশ্মি’ ঢুকিয়ে মেরে ফেলবে চীনের নতুন এই অস্ত্র
নিউজ ডেস্কঃ সারা পৃথিবী জুড়ে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে বহু দেশ। কারন চীনের বেশ কিছু নিয়ম যে একাধিক দেশকে বিপদে ফেলছে তা বলাই বাহুল্য। করোনা ভাইরাসের পর চীন প্রমান করে দিয়েছে যে তারা কতোটা বিপদজনক সারা পৃথিবীর জন্য।
ঠিক তেমনই চীনের হাতে এমন কিছু অস্ত্র রয়েছে যা সারা পৃথিবীর মাথা ম্যাথার কারন। চীনের কাছে এমন কিছু অস্ত্র আছে যা এখনও সকলের সামনে আনেনি তারা।
বন্দুক থাকবে অথচ গুলি থাকবে না। এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যেকোনো ব্যাক্তিকে মেরে ফেলবে এই বন্দুক। অদুর ভবিষ্যতে এটাই হয়ত সবথেকে বড় মারণাস্ত্র হতে চলেছে চীনের।
চীনের একটি রিপোর্টে এমনই প্রকাশ পেয়েছিল বেশ কিছু বছর আগে। ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ এক খবর অনুযায়ী ZKZM-500 নামে একটি বন্দুক তৈরি করছে চীন। যাতে কোনোরকম কোন গুলি থাকবে না শুধু লেসার ব্যবহার করা হবে। স্টার ওয়ার্স ছবিতে ব্যবহার কারি বন্দুকের মতো। এরকমই বন্দুক রয়েছে চীনের হাতে যা যা এনার্জি বিম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে চীনের এই তিন কেজি ওজনের বন্দুকটি আয়তনে AK-47-এর মত হলেও শক্তি AK-47 এর থেকে কয়েক গুন বেশি। চীনের তৈরি এই বিশেষ বন্দুকটি যে এনার্জি বিম বা রশ্মি খালি বেরোবে তা খালি চোখে দেখা যাবে না। তবে সেটি দৌড়তে পারবে কয়েক’শ মিটার। টার্গেটে না পৌঁছনো পর্যন্ত থামবে না। আর এই বীম শত্রুর শরীরে ঢুকে যাবে। তারপরই কষ্টদায়ক মৃত্যু ডেকে আনবে সেই ব্যাক্তির।এই বিশেষ বন্দুকে ব্যবহার করা হয়েছে লিথিয়াম ব্যাটারি, যা রিচার্জ করা যাবে। এই লেসার বন্দুক থেকে ১০০০ বার ফায়ার করা সম্ভব হবে, এবং ফায়ারের সময় লাগবে মাত্র ২ সেকেন্ড। গাড়ি এবং জাহাজে এই অস্ত্র ইন্সটল করার কথা চিন্তা করছে চীন।পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে বন্দুক তৈরি করছে চিন। বিশেষ এই বন্দুকের এক ইউনিটের দাম হবে ১৫০০০ মার্কিন ডলার।