ডিফেন্স

ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির পথে ফ্রান্স। কবে আসবে সার্ভিসে?

নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সম্পর্কে কমবেশি সকলেই এখন অবহিত। অর্থাৎ স্টেলথ ব্যাপারটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কারন একাধিক দেশের যুদ্ধবিমানের মধ্যে যে রেডারকে ফাঁকি দেওয়ার ব্যাপার থাকে তা কমবেশি প্রমাণিত। তবে এখনও কি ভেবে দেখেছেন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে অতিরিক্ত কি এমন ক্ষমতা থাকবে? অর্থাৎ কেন সেটিকে ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বলা হবে? প্রথমত পাইলট ছাড়া এই যুদ্ধবিমান উড়তে পারবে বলে একাধিক বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন। তবে পাশাপাশি সুপার স্টেলথ ক্ষমতা থাকবে এই যুদ্ধবিমান গুলির মধ্যে।

ফ্রান্স, জার্মানি এবং স্পেন মিলে ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের একটি প্রোজেক্ট শুরু করেছে ইতিমধ্যে। ১২০ বিলিয়নের এই প্রোজেক্ট অত্যাধুনিক স্টেল্থ ফাইটার প্রোগ্রাম “ Future Combat Air System (FCAS) ” ২০১৭ সাল থেকে এখনও আটকে রয়েছে।  আর সমস্যার কারন যুদ্ধবিমানটির আইপি। কোন দেশ এই বিশেষ ইন্টেলেক্চুয়াল প্রপার্টির রাইট পাবে। বলে রাখা ভালো যে FCAS প্রোগ্রামে টেকনোলজিকর দিক থেকে সব থেকে বেশি শেয়ার রয়েছে ফ্রান্সের। জার্মানি কিছু টেকনোলজি তৈরি ছাড়া অর্থ যোগান দেবে আর জার্মানির মত একই কাজ করবে স্পেন। উল্লেখ এই স্পেন হল FCAS এর নতুন সদস্য।

তবে সমস্যা অন্য জায়গায় FCAS প্রোগ্রাম নিয়ে ফ্রান্সের অভিযোগ হল জার্মানি ফ্রান্সের হাইলি ক্লাসিফাইড প্রযুক্তির এ্যক্সেস চাইছে। তবে জার্মানি তা অস্বিকার করেছে। বহু বছর ধরে প্রায় ৭০ বছর ধরে ফ্রান্স যুদ্ধবিমান তৈরি করছে, অতয়েব এই দিক থেকে ফ্রান্স অনেক এগিয়ে স্পেন এবং জার্মানির থেকে। অর্থাৎ তাদের বিরাট অভিজ্ঞতা রয়েছে। মিরাজ এবং রাফালের মতো যুদ্ধবিমান তৈরি করে তারা ইতিমধ্যে প্রমান করেছে। সেইদিক থেকে একটা কথা পরিষ্কার যে জার্মানদের যে ফরাসী প্রযুক্তির ওপর ঝোঁক আছে।

এখানে সবথেকে বড় ব্যাপার হল যে ফ্রান্স একাই এই প্রোজেক্ট চালাতে সক্ষম, তাদের কাছে যথেষ্ট প্রযুক্ত রয়েছে। তবে প্রধান সমস্যা হল এতো পরিমান অর্থ। আর সেই কারনে তারা জার্মানি আর স্পেনকে এর মধ্যে সামিল করেছে। ১২০বিলিয়ন ২৩বছর ধরে ফ্রান্সের একার পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব হবে না। আর এখানেই মূল সমস্যা। আর সেই কারনে এখন ফ্রান্স চাইছে যত বেশি সম্ভব আর্থিক অংশীদারিত্ব ছড়িয়ে দিতে, তার ফলে তাদের ওপর চাপ পড়ে। ফ্রান্সের এই দূর্বলতাটা বেশ ভালোভাবেই জানে জার্মানি।

তবে বহু দিন ধরে এই প্রোজেক্টের কাজ আটকে রয়েছে। ২০১৭ তে এই চুক্তি সই করা হয় পাশাপাশি ২৩ বছরের মধ্যে এটি সার্ভিসে আনার ইচ্ছা রয়েছে। যা রাফালে এবং টাইফুনের মতো যুদ্ধবিমানের বদলে ব্যবহার করা হবে। যদিও রাফালকে মৌখিক ভাবে রিপ্লেস করা হবে বলা ভালো। কারন রাফাল এফ-৪,৫,৬,৭ এর মতো ভার্সন সার্ভিসে আসবে। অর্থাৎ ২০৭০সাল পর্যন্ত সার্ভিস দেবে।

তবে বর্তমানে ষষ্ঠ প্রজন্মের FCAS এর ভবিষ্যৎ কি তা জানা নেই। অন্যদিকে ভারতের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান AMCA এর ডেভেলপমেন্টের কাজ চলছে। ২০৩০সালে মার্ক-১ এবং ২০৩৫ সালে মার্ক-২ সার্ভিসে আসার কথা। ২০৩৫সালে যে মার্ক-২ সার্ভিসে আসবে তাতে ষষ্ঠ প্রজন্মের টেকনোলোজি থাকতে চলেছে। পাইলট ছাড়াই যুদ্ধবিমান উড়বে। তবে এটি ৫.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হতে চলেছে হবে। ফ্রান্স, জার্মানি এবং স্পেনের FCAS  ও পুরোদস্তুর ষষ্ঠ প্রজন্মের ফাইটার প্রোজেক্ট নয়। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন ভারতবর্ষ কতোটা এগিয়ে যেতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *