ডিফেন্স

রানওয়ের কারনে চীনের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান কাজে লাগাতে পারবে এবার বায়ুসেনা। বিপাকে চীন

নিউজ ডেস্কঃ চীনের বিরুদ্ধে স্ট্রেটেজিক পথে হাঁটতে হবে তা বলাই বাহুল্য। কারন লাদাখে বা চীন সীমান্তে বিশেষ সুবিধা পায় ভারতীয় সেনা। কারন ভারতবর্ষের সেনাবাহিনীর এয়ার বেশ গুলি চীনের এয়ার বেসের থেকে অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় অবস্থিত। পাশাপাশি বায়ুর ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারনে ভারতীয় সেনা এই ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা বাড়তি সুবিধা পায়।

চীনের সঙ্গে ভারতের সীমানা তিব্বত। এক মালভূমি আর মালভূমি উচ্চতা 4500 মিটার বা তার বেশী ও হতে পারে। এত বেশি উচ্চতায় বিমান অপারেট করতে গেলে বেশ বড় রানওয়ে থাকার প্রয়োজন, কমপক্ষে 3 কিমি। যা বিমানযুদ্ধে ভীষন খারাপ অবস্থায় ফেলে দেয় চীনকে, কারণ বেস থেকে উড়তেই অনেক সময় লাগবে। এয়ার কমবাট যুদ্ধে মিনিট বা সেকেন্ডের খেলা, এর মধ্যেই সব কিছু ঠিক হয়ে যায়। এত উচ্তায় অপারেট করতে গেলে ইঞ্জিনে ভীষন পরিমাণে চাপ পড়ে। কিন্তু এই রকম উঁচু জায়গায় বায়ুর ঘনত্ব কম হওয়ার কারনে জেট ইঞ্জিন কাজ করে কমবারসন এর উপর, অর্থাৎ এয়ার ইনটেক করে ইঞ্জিন হওয়া কে ভিতরে পাঠায় তা ফুয়েল এর সঙ্গে মিশে কমবারসন হয়ে শক্তি উৎপন্ন করে। এবং  এয়ার কম হলে শক্তি বা থ্রুস্ট কম উৎপন্ন হবে থ্রুস্ট কম হলে বিমান পূর্ন ক্ষমতায় অপারেট করা যাবে না। অর্থাৎ বিমান পে লোড কম হবে হাতিয়ার কম নেবে রেঞ্জ আপনাআপনি কমে যাবে।

চীনারা সংখ্যা কে ভীষণ পরিমাণে গুরুত্ব দেয়, তাদের মতে যত বেশী সংখ্যা যুদ্ধাস্ত্র ততবেশি সুবিধা। কিন্তু কাউন্টার বিমানযুদ্ধ এই ভাবে হয় না, এখানে দুই বা তিনটি এয়ারক্রাফট মিলে একটি প্যাকেজ তৈরী করা হয়, যা নিজেদের মধ্যে তাল মিল রেখে তা শত্রুদের মোকাবিলা করে। এক্ষেত্রে যত বেশী বিমান তত ছন্দ পতন হয়।

পশ্চিমী বিশেষজ্ঞ দের মতে( observer reserch foundation) রাশিয়ান সু 30 এম কে আই ইঞ্জিনে বেশ কিছু সমস্যা আছে, কিন্তু তাদের মতে চীনা জে 11 বা জে 16 আরো ভয়ানক। এর সুবিধা ভারতবর্ষের সু 30 পাবে কারণ ভারতের এয়ার ফিল্ড এত উঁচুতে নয়।

চীনের সবচেয়ে কাছের এয়ারফিল্ড হল নাগরী ঘটি। কিছু সময় ধরে চীনারা নাগারী ঘাঁটি কে উন্নীত করার অনেক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এর রানওয়ে বর্তমানে সাড়ে চার কিমি লম্বা। এইস্থানে চীন সু 27 আর জে 11 বিমান মজুত করে রেখেছে। কাশগার এয়ার ফিল্ড যা সিনজিং প্রদেশে, এটা তিব্বতের রাজধানী থেকে 650 কিমি দূরে। এত দূর থেকে কমবাট এয়ার পেট্রল করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।

সিনজিয়াং অঞ্চলে আর একটি বিমান ঘাঁটি হল হটান, এটি কম করে 400 কিমি দূরে।  যদিও এই ঘাঁটি কিন্তু অপেক্ষাকৃত নিচুতে, তাহলেও দূরত্ব বহু এর জন্য ভারতের আকাশে এয়ার ডোমিনান্স করা চীনা বায়ুসেনার পক্ষে সোনার পাথর বাটির মত দাঁড়াচ্ছে।  এই দূরত্ব গুলি সরলরেখায় করা হয়েছে, তিব্বত পাহাড় চুড়ো প্রচুর, ফলে বিমানগুলো কে ঘুরে ঘুরে আসতে হবে আর দূরত্ব আরো বেড়ে যাবে।

অপরদিকে ভারতের ঘাঁটি গুলো সমতলে ও কাছাকাছি অবস্থিত। কিন্তু সূত্রের মতে চীন পাক কাশ্মীর স্কারডু তে I L 78 রিফুয়েলিং বিমান নিয়ে আসে। ভারতের সেনাবাহিনীকে সর্বদা সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে সেই কারনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *