ডিফেন্স

সেনাবাহিনীর এই বিমান খুব সহজেই টক্কর দেবে চীনের পঞ্চম প্রজন্মের বিমানকে

নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলির দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে এখনও ভারতের হাতে প্রায় ১০০ র উপর মিগ বিমান রয়েছে। বিশেষ করে মিগ ২১। যদিও এই মিগ বিমান গুলিকে আসতে আসতে অবসর করানো হচ্ছে। তবে সম্প্রতি মিগ ২৯ ক্রয় করেছে, যদিও সেগুলিকে একাধিক আপগ্রেড করানো হয়েছে। সেই কারনে মিগ ২৯ গুলিকে আর আগের মিগ ২৯ বলা যাবেনা। তবে মিগ বিমান গুলির অবস্থা যে শোচনীয় তা একাধিক সমীক্ষায় ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। মিগ বিমানকেই ফ্লাইং কফিন বলে ডাকা হয়ে থাকে। আর এই মিগ এখন সেভাবে মার্কেটের সাথে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছেনা।

দিনের পর দিন রাশিয়ার মিগ কোম্পানির বিপদ বেড়েই চলেছে।অ্যাভিয়েশন এর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে তাদের সর্বশেষ ভরসা হল মিগ-৩৫ যুদ্ধবিমানটি। যা রাশিয়ার মিগ-২৯ এর আপগ্রেড ভার্সন। মিগ কোম্পানি একে চতুর্থ প্রজন্ম থেকে আপগ্রেড করে অত্যাধুনিক চতুর্থ প্রজন্মের বিমান বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের চেষ্টাই করেছে।

২০০৭ সালে প্রথমবার আকাশে উড়তে দেখা যায় এই বিমানটিকে, তবে ২০১৯ অর্থাৎ আগের বছর সার্ভিসে আসে। আট টি বিমান তৈরি করা হলেও ৬ টি টেস্ট করা হয়েছে এবং ২ টি রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে আছে।

বিমানটিকে ৪++ জেনারেশানের যুদ্ধবিমান বলা হয়ে থাকে। রাশিয়া ছাড়া এখনও দেশের সেনাবাহিনীতে যোগ হয়নি। টোটাল ৫ টি ভার্সন রয়েছে তার মধ্যে একটি বানানো হয়েছে নেভির কথা মাথায় রেখে। এক অথবা দুই ক্রু মেম্বার থাকতে পারে। খালি অবস্থায় ওজন ১১০০০ কেজি এবং মোট ১৭৫০০ কেজি ওজন অর্থাৎ ৬৫০০ কেজি নিয়ে আকাশে উড়তে সক্ষম। যদিও সর্বচ্চ টেক অফ ওয়েট ২৪৫০০ কেজি।

সর্বচ্চ গতি ২৫০০ কিমি/ঘণ্টা অর্থাৎ ম্যাক ২.২৫। সার্ভিস সেলিং ৫২০০০ ফুট। রেঞ্জ ২৪০০ কিমি। যুদ্ধবিমানটি আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভুমিতে এবং অ্যান্টি মিসাইল আক্রমনেও পারদর্শী। যুদ্ধবিমানটি মিগের তৈরি মিগ কোম্পানির সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান। যুদ্ধবিমানটি রাফালে, ইউরোফাইটার টাইফুন এবং এফ ১৬ ফাইটিং ফ্যাল্কনের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *