ডিফেন্স

তুরস্ককে টেকনোলোজি দেওয়া বন্ধ। আমেরিকার দেওয়া যুদ্ধবিমান গুলিকে আপগ্রেড নিয়ে মহা সমস্যায়

নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়ার থেকে যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করার জন্য তুরস্ককে যে এফ ৩৫ র মতো যুদ্ধবিমান আমেরিকা বিক্রি করবেনা তা বেশ কিছু মাস আগে পরিষ্কার করে দিয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রাজনীতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে তা অনুযায়ী আমেরিকা এবং তুরস্কের বিপরীতে কাজ করছে। তুরস্কের জন্য তৈরি করা যুদ্ধবিমান গুলিকে তারা অন্যান্য দেশের হাতে তুলে দিচ্ছে আসতে আসতে।

গ্রীস আমেরিকার থেকে ২০ টি F-35A ক্রয় করতে চলেছে, যার মধ্যে ৬ টি F-35 আমেরিকা তুরস্কের জন্য তৈরি করেছিল সে গুলো গ্রীস কে দেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রীস ফ্রান্সের থেকে ১৮ টি রাফায়েল ক্রয় করছে, যার মধ্যে ৮ টি রাফায়েল ফ্রান্স বিনামূল্যে দিচ্ছে।

গ্রীস হচ্ছে তুরস্কের অন্যতম বড় শত্রু। যদি গ্রীস ও তুরস্কের এয়ারফোর্স এর তুলনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে উভয় দেশই ন্যাটো সদস্য হওয়ায় একই ধরনের যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। যেমন তুরস্কের ব্যকবোন তাদের ২৪৫টি F-16। ঠিক তেমনভাবে গ্রীসের ব্যকবোন তাদের ১৫৪ টি F-16 ও ৪৩ টি মিরাজ-২০০০।. তবে আমেরিকার সাথে ঝামেলার কারনে তুরস্ক তাদের F-16 ফ্লীট কে আর আপগ্রেড করতে পারবে না। অন্যদিকে গ্রীসের সব F-16 কে ভাইপার মানের আপগ্রেড করে দেবে আমেরিকা।

পাশাপাশি তুরস্কে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির পোগ্রাম প্রায় বন্ধ। কারন এর ইন্জিন দেওয়ার কথা ছিল রোলস রয়েসের যা তারা দেবে না। বোয়িং এই প্রজেক্টে সাহায্য করত তারাও নেই। TF-X এর কিছু সেন্সর, অ্যভোনিক্স জার্মানি ও কানাডার দেওয়ার কথা ছিল, সেটাও বন্ধ। সব মিলিয়ে তুরস্কের এয়ারফোর্স এর ভবিষ্যৎ খুবই খারাপ বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। তুরস্কের এখন একমাত্র ভরসা রাশিয়া, তবে মনে রাখা দরকার রাশিয়া কোনদিন ও তুরস্কের বন্ধু না, সিরিয়া ও আজারবাইজান সমস্যায় রাশিয়া ও তুরস্ক বিপরীত শিবিরে আছে। তাছাডা তুরস্কের যা অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে বিশাল F-16 ফ্লীট কে রিপ্লেস করার ক্ষমতা নেই তাদের। অন্যদিকে গ্রীস তাদের এয়ারফোর্স কে ঢেলে সাজাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *