সামরিক ক্ষেত্রে একটি চুক্তি করতে কেন ৫বছর সময় লাগে সরকারের? বিরাটভাবে ভুগতে হতে পারে সেনাবাহিনীকে
নিউজ ডেস্কঃ দেশ স্বাধীনের পর বিশেষ করে ৬০ এর দশকে বিরাট পরিমাণে ডিফেন্সের জিনিস পত্র এসেছে। বিশেষ করে ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাকিস্তান, চীনকে যে শায়েস্তা করেছিলেন তা সকলেরই জানা। তবে ১৯৬০ সালে ভারতের জিডিপির পরিমাণ সেভাবে ছিলনা কিন্তু ডিফেন্সের প্রতি একটুও অনীহা করেনি তারা। সেইসময় ভারত বিভিন্ন ধাপে ৮০০ এর উপর মিগ বিমান(মিগ ২১) ক্রয় করেছে।
তখন এত টাকা আমরা জোগাড় করতে পেরেছিল সরকার। কিন্তু প্রশ্ন হল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস মার্ক-১/১এ মিলিয়ে ২০০টা যুদ্ধবিমানের অর্ডার ও করার অর্থ হয়না? সুখোই এর সংখ্যা মোট ২৭৪ হতে চলেখে, নৌবাহিনীর হাতে থাকা মিগ-২৯ আগামী দিনে ৮১ হবে, তেজসের সংখ্যা ১২৩ হবে, ৩৬টি রাফাল, মিগ-২৯কে/কুব ৪০+ !
মোটামুটি ৫৫৬টি বিমান যাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিভিআর(এয়ার টু এয়ার মিসাইল অর্থাৎ আকাশ থেকে আকাশে হামলা চালাতে সক্ষম) মোতায়েন করা যাবে। আর অর্ডার করা হচ্ছে ২৪৮টি। দুটি বিমান পিছু ১টি অস্ত্র বিভিআর ও হয়না। অর্ডার করা হবে, কিন্তু একটি চুক্তি করতে সরকারের ৫বছর সময় লাগে? সেখানে পরের চুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে কেন বিমান আর নৌবাহিনীকে?
অস্ত্র বিভিআর ভারতবর্ষের মূল বিভিআর ফায়ার পাওয়ারের অংশ হবে। সেখানে খুব কম করে ২৫০০ অস্ত্রের প্রয়োজন পরবে বিমান ও নৌবাহিনীর। সেখানে ২৪৮টি অস্ত্র কাকে দেবে সরকার? বিমানবাহিনী উন্নয়নে এত অনিহা কেন প্রকাশ করা হয়? ২৭শে ফেব্রুয়ারির ধাক্কা খাওয়ার পর এখনও ৪০০টি SDR(কমিউনিকেশান অর্থাৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিলে অন্য ফ্রিক্যুয়েন্সিতে সরাসরি চলে যাওয়া সম্ভব) এর অর্ডার কেন দেরিতে দেওয়া হল ইসরায়েলকে?
আজ বিমানবাহিনীর গুরূত্ব আধুনিক যুদ্ধে ব্যপক। তারপরও সরকারের এই উদাসীনতা ভবিষ্যতে ভারতবর্ষকে বিপদে ফেলবে না তো?