ডিফেন্স

পাকিস্তানকে সঠিক শিক্ষা দিতে রাশিয়ার জঘন্য মিসাইলকে সরিয়ে ভারতের অত্যাধুনিক মিসাইল ইন্সটল করা হচ্ছে এবার যুদ্ধবিমানে

নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়ার থেকে ক্রয় করা যুদ্ধবিমান গুলি যে যেকোনো সময় বিধ্বংসী রুপ নিতে পারে একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে আমেরিকার যুদ্ধবিমান গুলিকে যে বিরাট শিক্ষা দিয়েছে মিগের যুদ্ধবিমান গুলি তা বলাই বাহুল্য। ভারতবর্ষের সেনাবাহিনীতে প্রচুর পরিমানে এই ধরনের যুদ্ধবিমান রয়েছে। পাশাপাশি ভারতের যুদ্ধজাহাজে মিগ ২৯ এর মতো যুদ্ধবিমান থাকার কারনে অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। শুধু তাই নয় ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির রণতরী মিগ ২৯ কে রাখা হবে বলে ভাবা হয়েছে।

মিগ-২৯ইউপিজি ইতিহাসের অন্যতম সেরা আর ভয়ংকর যুদ্ধবিমান। মিগ-২৯ এর এ্যরোডায়নামিক্সের প্রশংসা করে নি এমন পশ্চিমি সামরিক বিশেষজ্ঞ খুব কম আছে। আসলে সুখোই-২৭ এর প্রতিপক্ষ হিসাবে মিগ-২৯ কে অফার করা হয় রুশ বিমানবাহিনীকে। ট্রায়ালে সুখোই-২৭ জিতে গেলেও মিগ-২৯ এর পারফর্মেন্স এতটাই ভালো ছিল যে রাশিয়া এই যুদ্ধবিমানকে বাদের খাতায় ফেলতে পারে নি। তাই একেও নিজের ফ্লিটে সামিল করা হয়েছিল। আর ভারত ছিল এর প্রথম ক্রেতা।

মিগ-২৯ যখন ভারত ক্রয় করেছিল তখন এটি ফাইনাল অপরেশান ক্লিয়ারেন্সও পায় নি। তবুও ভারত এর সক্ষমতা ভালো ভাবে অনুভব করেছিল। এমনকি অনেক রাশিয়ান পাইলটের মতে সুখোই এর চেয়ে মিগ-২৯ যুদ্ধে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা নিতে সক্ষম। তুলনামূলকভাবে এই যুদ্ধবিমান ছোট হওয়ায় কারনে এটি সহজে চোখে পরে না (সু-২৭ এর সাথে তুলনার সাপেক্ষে)। সেই সময় মিগ-২৯ “সম্ভবত” একমাত্র ফাইটার ছিল যার থ্রাস্ট/ওয়েট রেশিও ১ এর বেশি ছিল। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে থ্রাস্টের পরিমান ভরের তুলনায় এতটা বেশি যে এটি অস্বাভাবিক ভাবে আনস্টেবেল (যা ম্যনুয়েভারেবিলিটির জন্য জরুরি) আর দ্রুত নিজের এনার্জি রিকভার করতে পারতো ডগফাইটে। যার ফলে এই যুদ্ধবিমানকে একে সবার থেকে অনন্য করে তুলেছিল।

তবে প্রতিটি যুদ্ধে মিগ-২৯ নিজের প্রকৃত সক্ষমতার প্রমান সেভাবে প্রদর্শন করতে পারেনি। আর সেই কারনে অনেকটা দোষ রাশিয়ার জঘন্য এয়ার টু এয়ার মিসাইলকেও দিয়ে থাকেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে হয়তো জানেন না যে ২৭শে ফেব্রুয়ারি পাক আক্রমনের সময় দুটি মিগ-২৯ ইন্টার্সেপ্সানের জন্য টেক অফ করা হয়। পাকিস্তানের পুরো ফ্লিট মিগ-২৯ইউপিজির সামনে আসা তো দূর পুরো ইউ টার্ণ করে পালিয়ে যায়। মিগ-২৯ এর কপাল অত্যন্ত বাজে।

তবে আবার যদি কখনও আকাশে দেখা হয় আর সাথে ভারতের অস্ত্র বিভিআর এবং নাকে উত্তম এসা রেডার থাকে তাহলে সেটা এই যুদ্ধবিমান নিজেই প্রমান দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *