নাসার সাথে যৌথভাবে স্যাটেলাইট পাঠাতে চলেছে ইসরো
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষ এবং আমেরিকা যে আসতে আসতে কাছে এসেছে তা কমবেশি বিশ্বের সকল মানুষেরই জানা। আর এই কারনে দুই দেশেরই লাভ হচ্ছে। দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার ফলে একাধিক ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি হচ্ছে যা সত্যি চোখে পরার মতো। সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে সামরিক ক্ষেত্র থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা। সব ক্ষেত্রেই দুই দেশের কাজ।
পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক এবং শক্তিশালী রেডার ইমেজিং স্যটেলাইট নিসার নির্মানে ভারতের বড় পদক্ষেপ গ্রহন করেছে ভারত। এস ব্যন্ড সিন্থেটিক এ্যপার্চার রেডার ডেভেলপমেন্টের কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছে ইসরো!
নিসার হল এমন এক প্রোজেক্ট যেখানে ভারতের ইসরো এবং আমেরিকা যৌথভাবে কাজ করছে। যার মাধ্যমে পৃথিবীর প্রথম ডুয়েল ব্যন্ড ফ্রিকুয়ন্সির রেডার ইমেজিং স্যাটেলাইট তৈরি হতে চলেছে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে এটি কত বড় মাপের প্রোজেক্ট। এই প্রজেক্টের জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ১বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি এই স্যাটেলাইট একটিভ থাকবে ৩বছর।
আর এই স্যাটেলাইট তৈরি করতে আমেরিকা দেবে এল ব্যন্ড সিন্থেটিক এ্যপার্চার রেডার (১.২৫গিগা হার্ৎজ, ২৪সেমি ওয়েভ লেন্থ), হাই রেট ডাটা ট্রান্সিমিটার টেলিকমিউনিকেশান সাব সিস্টেম, জিপিএস রিসিভার এবং এসা বেসড রেকর্ডার। এবং ভারতবর্ষের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো দিতে চলেছে এস ব্যন্ড সিন্থেটিক এ্যপার্চার রেডার (৩.২০গিগা হার্ৎজ, ৯.৩সেমি ওয়েভ লেন্থ), লঞ্চ ভেহিকেল জিএসএলভি মার্ক-২ ও অন্যান্য লঞ্চিং সাবসিস্টেম সব স্যাটেলাইট বাস (যে বাইরের খোলসের ভিতরে স্যাটেলাইটের যন্ত্রাংশ থাকে)!
এই স্যাটেলাইটের মোট ওজন হবে প্রায় ২,৮০০কেজি। এই স্যাটেলাইটকে পৃথিবী থেকে ৭৪৭কিমি ওপরে সান সিন্ক্রোনাস অর্বিটে স্থাপন করা হবে বলে ভাবা হয়েছে।
এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৃথিবীর ওপরের খোলসের ১সেন্টিমিটারের মুভমেন্ট ধরে ফেলা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মেরু অঞ্চলের বরফ কিভাবে ভাবে গলছে তা দেখা হবে পাশাপাশি এরকম একাধিক সিভিল এ্যপ্লিকেশানে কাজ করবে। এছাড়াও ভূমিকম্প এবং সুনামির মত একাধিক বিষয়ে প্রচুর তথ্য দেবে বলে চিন্তা করা হয়েছে।
ভারতবর্ষের তৈরি সিস্টেম গুলি এখন আমেরিকার জেট প্রপাল্সান ল্যবে পাঠানো হয়েছে যা মার্কিন সিস্টেম ইন্টিগ্রেশান করা হবে। ২০২১এর শেষে অথবা ২০২২ এর প্রথমের দিকে এটি লঞ্চ করা হতে চলেছে।