ডিফেন্স

চীনে বা পাকিস্তানের মতো দেশের রাডার এড়িয়ে গোপনে আঘাত হানতে পারে মুম্বাইয়ে তৈরি হওয়া বিশেষ সাবমেরিনটি

নিউজ ডেস্কঃ নৌসেনার ক্ষমতা বাড়াতে একের পর এক সাবমেরিন আসছে সেনাবাহিনীতে। বিশেষ করে ভারতমহাসাগরে চীন বা পাকিস্তানের কোনরূপ দাপট বা হুমকিকে পাত্তা না দিতেই এই পরিকল্পনা করা হয় বহু আগেই। বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে কিছুটা চাপে রাখতেও একের পর এক দেশের সাথে জোট করছে নৌসেনা। তবে জলের তলায় চীনকে জবাব দিতে ইতিমধ্যে সসাসের মতো টেকনোলোজি হাতে পেয়েছে সেনাবাহিনী। যেখানে আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ পাশে রয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু সাবমেরিনকে একাধিক মিশনে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে চীন বা পাকিস্তানের কোনরূপ একটিভিটি দেখলে তা যোগ্য জবাব দেওয়া হয়বে। আর সেই কারনে বহু দিন ধরে অর্থাৎ এমনও কোনও কোনও সময় মাস খানেকের উপর মিশনে থাকে সাবমেরিন গুলি। আর সেই কথা মাথায় নতুন সাবমেরিন গুলি সার্ভিসে আসছে।

ভারতীয় নৌসেনার সবমেরিন স্করপিন ক্লাসের দ্বিতীয় সাবমেরিন আইএনএস খান্দেরি। ২০১৭ সালে আনা হলেও প্রায় ২ বছর ট্রায়ালের পর ২০১৯ সালে সার্ভিসে আসে এই বিশেষ সবমেরিনটি। মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয়েছে এই সাবমেরিনটিকে।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশেষভাবে উন্নত এই সাবমেরিনটি যাতে অত্যাধুনিক এবং উন্নত টেকনোলোজি রয়েছে। বিশেষ সাবমেরিনটি গোপনীয়তা রক্ষা করার পাশাপাশি একইসাথে একাধিক চালানোর ক্ষমতা রয়েছে। অত্যাধুনিক অস্ত্রের সাহায্যে জলের অনেক গভীর থেকে হামলা চালাতে পারবে শত্রুপক্ষের উপর। পাশাপাশি এই সাবমেরিনে রয়েছে টিউব লঞ্চড অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের মতো জিনিস। যার সাহায্যে শত্রুপক্ষের ওপর জলের তলা বা ওপর থেকে আক্রমণ করতে পারবে খুব সহজেই।

চীনে বা পাকিস্তানের মতো দেশের রাডার এড়িয়ে গোপনে খুব সহজেই কাজ করার ক্ষমতা রাখে এই আইএনএস খান্ডেরি। বাকি সব সাবমেরিন গুলির তুলনায় অনেক বেশি ক্ষমতা রাখে। অ্যান্টি সারফেস ওয়ারফেয়ার, অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, মাইন বিছানো এবং এলাকায় নজরদারি  চালানোর মতো বিভিন্ন ধরনের কাজও করতে  পারে এই সেনাবাহিনীর এই বিশেষ সাবমেরিনটি।

২২১ ফুট লম্বা এবং ২০ ফুট চওড়া এই সাবমেরিনটি জলে ভেসে থাকা অবস্থায় ২০ কিমি/ ঘণ্টার গতিবেগে চলতে সক্ষম হলেও জলের গভীরে এটি ৩৭ কিমি/ ঘণ্টার গতিবেগে চলতে সক্ষম।

জলে ভেসে থাকা অবস্থায় সর্বচ্চ ১২০০০ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে তবে জলে নিমজ্জিত অবস্থাত মাত্র ১০২০ কিমি। ৪৩ জনকে নিয়ে ৫০ দিন জলের গভীরে অনায়াসে কাটাতে সক্ষম এই বিশেষ সাবমেরিনটি। ১১৫০ ফুট গভীরে যেতে সক্ষম। শত্রুপক্ষকে হামলা করতে ৩৯ টি অ্যান্টি শিপ মিসাইল এবং ৩০ টি মাইন রাখা রয়েছে এই সাবমেরিনে । ২১ টি টর্পেডো রয়েছে এবং অ্যান্টি টর্পেডো কাউন্টার মেসোর সিস্টেম একটিভ রয়েছে এতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *