ডিফেন্স

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এয়ার স্ট্রাইকে করতে কেন ফ্রান্সের যুদ্ধবিমানকে ব্যবহার করেছিল সেনাবাহিনী?

নিউজ ডেস্কঃ ইতিমধ্যে ভারতের হাতে রাফালে এসে পৌঁছেছে। তবে ফ্রান্সের থেকেও রাফালে প্রথম বিমান নয়, এর আগেও একাধিক যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করেছে ভারত। বিশেষ করে দেশ স্বাধীনের পর ফ্রান্সের দাসল্ট এর প্রধান ক্রেতা ছিল ভারতবর্ষই।

ফ্রান্সের মিরাজ ২০০০। ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিরাজ-২০০০ কে অন্যতম দামী সম্পত্তি হিসাবে গন্য করা হয়। সাধারন সেনা সাধারন যুদ্ধে যায়। কিন্তু স্পেশাল প্যরা কম্যান্ডো স্পেশাল সার্জিকাল স্ট্রাইকে ব্যবহার করা হয়। এখানে সুখোই কে আপনি সাধারন সেনা ধরলে মিরাজ-২০০০ স্পেশাল ফোর্স।

হ্যাঁ দুটি বিমানকে পাশাপাশি রেখে পার্থক্য গড়লে অবশ্যই সুখোইকে আপনি এগিয়ে রাখতে পারবেন। তবে মিরাজ ২০০০ কে স্পেশাল ফোর্সের সাথে তুলনা করার কারন একাধিক এমন সক্ষমতা যা সুখোই এর নেই।

প্রথমত সুখোই এর একটা বড় সমস্যা হল সুখোই এর টেরেইন ম্যপিং এর সক্ষমতা নেই। সুখোই এর রেডার মূলত এয়ার টু এয়ার মুডে দূর্ধর্ষ রকম পারদর্শী কিন্তু সুখোই এর “বার্স” গ্রাউন্ড এর ম্যপিং এর রেজোলিউশান অতটা উন্নত নয়। এদিকে মিরাজ-২০০০-৫ মার্ক-২ (ভারতীয় বিমানবাহিনীর আপগ্রেড মিরাজ-২০০০) এর রেডার RDY-3 রেডার খুবই ভাল গ্রাউন্ড ম্যপিং করতে সক্ষম।

দ্বিতীয়ত JTIDS ডাটা লিংক যা ভারতীয় লিংকের সাথে মিরাজ কে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়। এছাড়া অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টম রয়েছে। জ্যমারের সাথে যা শত্রুর অভ্যন্তরে নেটওয়ার্ক সেন্ট্রিক ওয়ারফেয়ারে সহায়ক।

তৃতীয়ত সুখোই এর এ্যরোডায়নামিক সম্পূর্ন রূপে মিডিয়াম ও হাই অলটিটিউডে যুদ্ধের জন্য। সুখোই একেবারেই লো ফ্লাই করতে অক্ষম। অন্যদিকে মিরাজ ডেল্টা উইং কনফিগারেশানের সঙ্গে খুব নিচু দিয়ে ফ্লাই করতে পারে। বিমানবাহিনীর ফ্লিটে মিরাজ-২০০০ আর তেজসের মত লো ফ্লাই করার ক্ষমতা আর কারোর নেই। তবে রাফালে র মধ্যে সমস্ত কিছু আছে।

চতূর্থত মিরাজের মিক-আইআর বিভিআর ক্ষমতা অন্য যেকোনো বিভিআর কম্ব্যটের থেকে আলাদা। মিকি-আইআর এর সিকার ইমেজিং ইনফ্রারেড বেসড। অর্থাৎ টার্গেটের তাপকে অনুসরন করে। তাই টার্মিল স্টেজে যখন মিসাইলের সিকার অন হবে তখন অন্যান্য মিসাইলের মত মিকা আইআর শত্রুর রেডার ওয়ার্নিং রিসিভারে কোনো সংকেত প্রদান করে না। কারন ইনফ্রারেড সিকার কোনো রেডিও ওয়েভ বিকিরন করে না। এটা প্যসিভ সিকার। তাই শত্রুর বিমান কোনো ভাবে বুঝতে পারে না যে একটা মিসাইল তার পিছনে রয়েছে। এটা এয়ার টু এয়ার কম্ব্যটে মিরাজকে আলাদা রকম স্টেলথ আক্রমণ ক্ষমতা প্রদান করে।

পঞ্চমত মিরাজ-২০০০ দুটি এয়ার টু গ্রাউন্ড মিউনিশানের সংযুক্তিতে বালাকোটের মত অপরেশান সহজে করতে পারে। এটি স্পাইশ-২০০০ আর পপেই ক্রুজ মিসাইল বহন করে। যা টিভি গাইডেড সিকার ব্যবহার করে। অর্থাৎ এটি লঞ্চ করার পর টার্গেট হিট করা পর্যন্ত ভিডিও ফিড ককপিটে পাইলট রেকর্ড করতে পারে এবং ককপিট থেকে নির্দেশ দিতে পারে কোথায় তা হিট করবে। এখনও তেমন কোনো মিউনিশান সুখোই ব্যবহার করে না।

তাই বালাকোটের মত সার্জিকাল স্ট্রাইকে মিরাজ অত্যন্ত পছন্দের স্পেশাল মিশন এয়ারক্রাফট ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *