ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতেই কি ড্রোন ক্রয়ের পথে পাকিস্তান?
নিউজ ডেস্কঃ পাকিস্তান এবং চীনের বিরুদ্ধে লড়তে একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করছে ভারত, তবে বেশ কিছু টেকনোলোজি হাতে না থাকার কারনে অনেক বেশি দাম দিয়েও কিনতে হচ্ছে। তবে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থার সাথে কোনও কিছু মিলিয়ে ফেললে তা চলেনা, আর সেই কথা মাথায় রেখেই ভারত খুব শীঘ্রই আমেরিকা থেকে প্রিডেটর -বি কমব্যট ড্রোন কিনতে চলেছে। পাকিস্তান চীন থেকে চারটে GJ-2 অ্যাটাক ড্রোন ক্রয় করছে।আর এই কথা মাথায় রেখেই ভারত প্রিডেটর ক্রয় করতে চলেছে। তবে এই GJ-2 ড্রোন কি?
এই GJ-2 চাইনিজ উইংলং ড্রোনেরই মিলিটারি ভার্সন। মূলত বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, লিবিয়া, পাকিস্তান এর মত গরীব দেশ এবং আফ্রিকার গরীব দেশ গুলিতে বিক্রয় করার জন্য চীন এই ড্রোন তৈরি করেছে। তবে সৌদি আরব, মিশর ও কিছু উইংলং ড্রোন কিনেছে। ইয়ামেনের হুথী বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের এই উইংলং ড্রোন গুলিকে রীতিমতো ঘুড়ি কাটার মত করে ধ্বংস করেছে। ইতিমধ্যে সৌদির ৫ টা ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা। ২০১৬ থেকে পাকিস্তান এই ড্রোন ব্যবহার করছে তবে ইতিমধ্যেই ২ টো ক্রাশ করেছে। লিবিয়া তে মাত্র দু সপ্তাহে সমস্ত উইংলং ধ্বংস করেছে তুরস্ক। কিন্তু এর নতুন ভার্সন GJ-2 ২০১৯ এ সার্ভিসে এসেছে এবার সেই ড্রোন ক্রয় করতে চলেছে পাকিস্তান । এই ভার্সন বর্তমানে লিবিয়া তে ব্যবহার করা হলেও এর সাফল্য খুবই কম।
অপরদিকে ভারতের আমেরিকার থেকে যে ড্রোন ক্রয় করতে চলেছে তা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কমব্যট ড্রোন। ইরাক, আফগানিস্তান সহ বহু যুদ্ধে এই ড্রোন কমব্যট প্রুফ। মূলত সমস্যা হল এর হাইটেক টেকনোলজির ড্রোনের দাম অত্যন্ত বেশী। একটি প্রিডেটর বি ড্রোন চারটে ফায়ার মিসাইল সহ ২ টি ৫০০ পাউন্ডের লেজার গাইডেড বোম্ব বহন করতে সক্ষম। আমেরিকা ইতিমধ্যে এরকম ৩০ টি ড্রোন ক্রয় করার অফার দিয়েছে ভারত কে। যার মূল্য হবে ৪ বিলিয়ন ডলার,অর্থাৎ ইউনিট প্রতি এর দাম প্রায় ১২৫ মিলিয়ন ডলার( তবে এটা অস্ত্র ছাড়া দাম)।অস্ত্র যুক্ত করে এর ইউনিট প্রতি দাম ২০০ মিলিয়ন ডলার। মানে এর দাম রাফালের থেকেও বেশি। ভারতের এক একটা রাফায়েল এর দাম ১৮৪ মিলিয়ন ডলার। তবে এই ড্রোন ভারতের হাতে আসলে চীন এবং পাকিস্তান গুটিসুটি হয়ে থাকবে।