ডিফেন্স

শত্রুপক্ষের সাবমেরিন কে ধ্বংস করতে এক অত্যাধুনিক টেকনোলোজি আনার পথে সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের নেভি যে পৃথিবীর অন্য অনেক নেভির থেকে উন্নত, তা একাধিকবার প্রমান হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের হাতে থাকা যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন গুলি একাধিক সময় তাদের বিধ্বংসী ক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।

ভারতের নেভিকে উন্নত করার জন্য একাধিক প্রোজেক্ট রয়েছে ভারত সরকারের। SMART বা Supersonic Missile Assisted Release of Torpedo হল বর্তমানে DRDO এর হাতে থাকা একটি উচ্চাভিলাষী প্রজেক্ট। সুপার সনিক ব্রাহ্মস প্রজেক্ট এর পর এই Smart সিস্টেম ইন্ডিয়ান নেভির জন্য একটি গেম চেনজার হতে চলেছে।

জিনিস টা আসলে কি? এর ব্যাপারে খুব বেশি জানা যায়নি কারন খুবই গোপন প্রজেক্ট এটি। একাধিক সুত্র মারফৎ যেঁটুকু জানা যায় তাহল এর পৃথিবীতে যে কোন হেভি ওয়েট টরপেডোর রেঞ্জ কত হয়? ৪৫কিমি ,৫০ কিমি? বা ধরুন ৬০ কিমি। তবে এর রেঞ্জ হতে চলেছে ৬৫০ কিমি!

সোজা কথায় ধরে নেওয়া যেতে পারে একটা সুপার সনিক মিসাইল, এর সামনে টরপেডো ফিট করা হয়েছে। এটা তৈরি করাই হচ্ছে সাবমেরিন কে ধ্বংস করার জন্য। এবার প্রশ্ন হতে পারে যে তাহলে শুধু সুপারসনিক মিসাইল ই যথেষ্ট ছিল, খরচ করে এই ধরনের সিস্টেম তৈরি করার দরকার কি ছিল?? আসলে এর কাজের ধরন একদম আলাদা।

সাবমেরিন এর খুব কাছে গিয়ে এর মিসাইল পার্ট টা টরপেডো রিলিজ করে দেয় ,তখন টরপেডো অটোমেটিক টার্গেটে আঘাত করে ঠিক পুরো একটা PSLV, GSLV রকেট সিস্টেম এর মতো। সাবমেরিন এর ক্ররা পুরো হতভম্ব হয়ে পড়ে যে তাদের দিকে কি আসছে টরপেডো না মিসাইল? তারা মিসাইল ভেবে ডিফেন্স করতে গেলে সাইলেন্ট ভাবে টরপেডো এসে সাবমেরিন ধ্বংস করে দেবে। বুঝতে পারছেন পুরোই হতচকিত হওয়ার মতো। একে যেকোন যুদ্ধ জাহাজ এমনকি ট্রাক বেসড কোস্টাল ব্যটারি থেকেও লঞ্চ করা সম্ভব।

আমেরিকা, রাশিয়া, চীনের পর ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ যারা সিস্টেম তৈরি করছে। তবে একটা কথা ভারতের এই Smart চীনের তুলনায় অনেক অনেক উন্নত কারন চীনের তৈরি একই ধরনের মিসাইল YU-8 এর রেঞ্জ মাত্র ৪০ কিমি। চীন বর্তমানে এর অত্যাধুনিক ভার্সন এর উপর কাজ করছে কিন্তু এরও রেঞ্জ ৭০-৮০কিমি, যেখানে ভারতের রেঞ্জ আনুমানিক ৬৫০ কিমি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *