কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানকে চরম শিক্ষা দিয়েছিল সেনাবাহিনীর এই যুদ্ধবিমানটি
নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় বায়ুসেনা এখনও পর্যন্ত ৭০ র অধিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। বিশেষ করে ভারতের হাতে মিগ বিমান গুলি থাকার ফলে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে ইন্ডিয়ান আর্মি। মিগ ২১ থেকে শুরু করে বর্তমানে মিগ ২৯। ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত ৫০০ র অধিক মিগ বিমান ব্যবহার করেছে। মিগ ২১ র কথা সকলেরই জানা। ঠিক তেমনই রয়েছে মিগ ২৭। কিছুদিন আগেই শেষ মিগ ২৭ টি অবসর গ্রহন করে। যুদ্ধবিমান গুলি বেশিরভাগ ব্যবহার করা হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধে। তবে এই মিগ গুলি এতো পরিমাণে ধ্বংস হয়েছে যে কারনে এই মিগ বিমান গুলিকে বলা হত “উড়ন্ত কফিন” বা “ফ্লাইং কফিন”।
মিগ ২৭ হল একটি “ভ্যারিয়েবেল জিওমেট্রি গ্রাউন্ড আট্যাক এয়ারক্রাফট”। ১৯৭০ এর দিকে “মিকোয়ান গুরেভিচ” ২০ অগাস্ট প্রথম আকাশে যুদ্ধবিমান টি আকাশে উড্ডয়ন করে। পরবর্তীকালে ভারতের হ্যালকে লাইসেস্নড প্রডাকশান করতে বলে ভারতকে।
প্রথমের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমানবাহিনীতে দেখাযেত এরপর রাশিয়া, ইউক্রেন, কাজাখাস্তান এবং ভারতীয় সেনার বিমানবাহিনীতে দেখা যায়।শ্রীলঙ্কার বিমানবাহিনী অল্প পরিমাণে এই বিমান ব্যবহার করেছিল শ্রীলঙ্কার সিভিল ওয়ারের সময়। বর্তমানে এটি কাজাখাস্তান ব্যবহার করে শুধু গ্রাউন্ড আট্যাক করার জন্য। ভারত সহ বাকি দেশের বিমানবাহিনী থেকে এটিকে অবসর করানো হয়েছে।
১৯৭০ সালে প্রথমবার উড্ডয়ন করতে দেখা যায় এটিকে। ১৯৭৫ সালে সার্ভিসে আসে। ১৯৭২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই বিমান ব্যবহার তৈরি হয়েছে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোট ১০০০ র উপর এই বিমান তৈরি করা হয়েছে।
৫৬ ফুট লম্বা এবং ১৬ ফুট উচ্চতা এই বিমানের ইউং এরিয়া ৪০২ বর্গফুট।
খালি অবস্থায় এর ওজন ১১৯০৮ কেজি এবং অস্ত্র নিয়ে এর মোট ওজন ২০০০০ কেজি। অর্থাৎ প্রায় ৯০০০ কেজি ওজন বহন সক্ষম এই যুদ্ধবিমানটি।
সি লেভেলে এটি ১৩৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে উড়তে সক্ষম তবে ২৬০০০ ফুট উচ্চতায় এটি ১৮৮৫ কিমি/ঘণ্টা অর্থাৎ ম্যাক ১.৭ গতিবেগে উড্ডয়ন করতে পারে।
পুরো জ্বালানি নিয়ে একেবারে ২৫০০ কিমি পর্যন্ত উড্ডয়ন করতে এই যুদ্ধবিমানটি।
৪৬০০০ ফুট উচ্চতা থেকে রকেট থেকে শুরু করে বোম্বিং, আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভুমিতে আক্রমণ করতে পারে।