ডিফেন্স

মাত্র ৬০ মিনিট এর মধ্যে বহুল মাত্রায় সেনা ও উপকরণ পাঠাবে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে। নতুন টেকনোলোজি আসতে চলেছে

নিউজ ডেস্কঃ ভবিষ্যতের সামরিক যুদ্ধ যে কিভাবে হতে চলেছে তা বলা খুব মুশকিল, কারন একাধিক দেশের এমন কিছু মারণাস্ত্র রয়েছে আ সাধারণত চোখে দেখা যায়না, অর্থাৎ পৃথিবীর বাইরে থেকেও আক্রমণ হতে পারে। তাই নয় একাধিক বিধ্বংসী এমন সাবমেরিন তৈরি করছে আমেরিকা যা জলের তোলা থেকেই বহু দূরে পরমাণু আক্রমণ শানাতে পারবে।

এল্টন মাস্ক এর স্পেস এক্স রকেট মার্কিণ বিমান বাহিনীর যুদ্ধাস্ত্র পরিবহনকারী বিমান সি ১৭ গ্লোবেমাস্টার কে কি রিপ্লেস করতে চলেছে? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে আন্তর্জাতিক মহলে।

ভবিষ্যৎ এর যুদ্ধ তার টেকনিক এক যুগান্তকারী আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে। এবং তার বেশ কিছু প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ষষ্ঠ প্রজন্মের বিমান ,ড্রোন , আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ,সোয়ারম ড্রোন, রোবট সেনা হাই এনার্জি উইপন, হাইপার্সোনিক মিসাইল ইত্যাদি।

ভবিষ্যতে যুদ্ধ যেহেতু বহু ফ্রন্টে হতে পারে এবং অনেক বড় জায়গায় ছড়িয়ে হবে, যেমন জল ,স্থল আকাশ ছাড়া মহাশূন্যে তার ব্যাপ্তি হতে পারে, তাই নিরাপদে হাজার মাইল দূরে থেকে নিরাপদে বহু সংখ্যায় সেনা ও উপকরণ পাঠানোর প্রক্রিয়া পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ।

সূত্রের মতে মার্কিন সামরিক দপ্তর ইউনাইটেড স্টেটস মিলিটারি কমান্ড যারা সেনার লজিস্টিক্স অপারেশন দেখভাল করে, তারা এক প্রথম সারির মার্কিন স্পেস কম্পনি স্পেস এক্স এর সঙ্গে দুনিয়ার যে কোন স্থানে ১ ঘন্টা বা মাত্র ৬০ মিনিট এর মধ্যে বহুল মাত্রায় সেনা ও উপকরণ পাঠানোর ভেহিকেল নির্মাণ করতে চলেছে। ইউনাইটেড স্টেটস ট্রান্সপ্ৰরটেশন কমান্ড TRANSCOM এল্টন মাস্ক এর আমেরিকান এরোস্পেস এন্ড স্পেস এক্সপ্লোরেশন বা স্পেস এক্স আর স্পেস এক্সপ্লোরেশন এন্ড আর্কিটেকচার XArc এর সঙ্গে এক চুক্তি করেছে , যারা স্পেস স্টেশন আর স্পেস ক্র্যাফট নির্মাণ ও ডিজাইন করবে।

জেনারেল স্টিফেন এবং লিওন TRANSCOM এর কমান্ডার জানিয়েছিলেন যে তারা ৭৫০০কিমি/ঘন্টা বেগে চলা একটি ট্রান্সপোর্টার প্রোটোটাইপ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন, যা একটি বিশাল কার্গো বিমান এর সমতুল্য ওজন পরিবহন করতে সক্ষম হবে। তিনি জানিয়েছিলেন যে এই প্রজেক্ট বহু সম্ভাবনা আছে সিভিলিয়ান ক্ষেত্রেও , স্পেস এক্স এর একসঙ্গে তারা এই প্রজেক্ট সফল ভাবে শেষ করবেন, তিনি আশা করছেন  যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে তবে ২০২১ সালে পুরোদমে এই প্রজেক্ট শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। ন্যাশনাল ডিফেন্স ট্রান্সপ্ৰর টেশন এক মিটিং তিনি বলেন আমরা দ্রুত এগোচ্ছি এই বিষয়ে।

এটি রিপ্লেস করবে মার্কিন বিমান বাহিনীর ওয়ার্ক হর্স চার ইঞ্জিনের C 17 গ্লোবেমাস্টার কে। যার বহন ক্ষমতা ৮২ টন এবং ৫২০ মাইল/ ঘন্টা । গ্লোবেমাস্টার ১৯৯০ সাল থেকে মার্কিন বিমান বাহিনীর মূল স্তম্ভ রাগেড টেরেইন। দুনিয়া জুড়ে মার্কিন সেনা ও উপকরণ এরাই বর্তমানে বহন করে, পাশাপাশি মার্কিন বায়ুসেনায় দুই শতাধিক বিমান আছে এই প্রকার।

এই বিমানটি কে রিপ্লেস করবে সেটা ৯০০০ মাইল/ঘন্টা এবং এই বিমানের চেয়ে বেশী ওজন বহন করবে। পাশাপাশি দুনিয়ার যে কোন প্রান্তে অতি অল্প সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেনা ও উপকরণ অবতরণ ক্ষমতা অর্জন করবে এই ভেহিকেল দ্বারা।

ইউ এস ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট এর লিগালিটি , ডিপ্লোম্যাটিক ও রেগুলেটরি ইস্যু গুলো বর্তমানে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে । যেটা এক স্পেস স্টেশন বা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে দুনিয়ার ওপর প্রান্তের একটি স্পেস অবতরণ কেন্দ্রে এই ভেহিকেল গুলো যাত্রা এবং অবতরণ করতে পারে।

যদিও বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন বিষয়টি জটিল কমার্শিয়াল স্পেস প্রোগ্রাম কে সামরিক ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়ত এই মুহূর্তে হবেনা এতে কয়েক দশক লাগতে পারে। তবে ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে যে কি বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে তা কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *